বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বিনোদন দুনিয়া আর পর্ন দুনিয়া যেন একই মুদ্রার এ পিঠ-ওপিঠ। একটিতে আলোর শিখা আর অন্যটিতে অন্ধকার। সম্প্রতি সিনে জগতে কালো ছায়া ফেলেছে পর্নোগ্রাফি। একই সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে কলকাতা, মুম্বাইয়ের নাম। দুই মহানগরীর বুকেই রমরমিয়ে চলছে পর্ন ছবি তৈরির ব্যবসা। যা নিয়ে উঠতি মডেল, অভিনেত্রীদের অজস্র অভিযোগ।
তাদের দাবি- জোর করে, ভয় দেখিয়ে, ভুলিয়ে, টাকার টোপ দিয়ে নাকি এই ধরনের পেশায় আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। এই অভিযোগ কতটা সত্যি?
বিষয়টি নিয়ে কলকাতার অভিনেত্রী নয়না গঙ্গুলি ভরতীয় গণমাধ্যমে বলেন, রাজ কুন্দ্রা পর্ন কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, এটা প্রমাণ সাপেক্ষ। বিষয়টি নিয়ে বিশেষ কিছু জানিও না। যা জানি না তাই নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নই। তার পরেই তার সাফ জবাব, তিনি লোক বুঝে মেশেন। ছবির আলোচনা ছাড়া বাড়তি কথা বলেন না। শুটিংয়ের পর নিজের মতো সময় কাটান। হয়তো এই কারণেই কেউ আমায় কুপ্রস্তাব দেওয়ার সাহস পায়নি। আজ পর্যন্ত আমি কারোর থেকে কোনো খারাপ ব্যবহার পাইনি বলেও জানান অভিনেত্রী।
নয়না সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেন। তার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘চরিত্রহীন’, রামগোপাল বর্মার ‘ডি কোম্পানি’ জ্বলন্ত উদাহরণ। অভিনেত্রী নেট মাধ্যমে যথেষ্ট খোলামেলা পোশাক পরে হাজির হন। এগুলো কি কখনো তার প্রতি প্রযোজক বা পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলের কারণ হয়নি? নয়নার যুক্তি, তিনি অভিনয় দুনিয়ায় আসার আগে এই ধরনের সাহসী দৃশ্য বহু ছবিতে দেখানো হয়েছে। তিনিও ইদানিং শুনছেন, ওয়েব সিরিজ মানেই নাকি সফট পর্ন। অভিনেত্রী এই অভিযোগ মানেন না। তার বক্তব্য, চিত্রনাট্যের দাবি মেনে কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় আর পর্ন ছবিতে অভিনয় একদম আলাদা। দুটোকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না।
প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী দর্শনার কথাতেও। তিনিও জানিয়েছেন, মডেলিং থেকে অভিনয়ে আসার দিনগুলোয় তিনি কোনো খারাপ অভিজ্ঞতার সাক্ষী নন। পাশাপাশি এও স্বীকার করেছেন, মডেলিং বা অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত মানুষদের এখনো সহজলভ্য ভাবা হয়।
দর্শনার দাবি, ধর্ষিতাকে তার আচরণ বা পোশাকের জন্য দায়ী করা হয়। একইভাবে অভিনেত্রী বা মডেলের দিকে আঙুল তোলা হয় তার সাহসী দৃশ্যে অভিনয় বা ফটোশুটের জন্য। এই ধরনের অভিনয়ে যারা সাবলীল তারাই পর্ন ছবি করেন বা অভিনয়ের প্রস্তাব পান, ধারণাটাই ভুল।
কলকাতায় এই ধরনের ইন্ডাস্ট্রির হদিশ কখনো পেয়েছেন দর্শনা? সাফ জবাব অভিনেত্রীর। তিনি বলেন, টলিউডের কোথাও এই ধরনের বেআইনি কাজ হয় না। তবে কানাঘুষো শুনেছি, এই ধরনের র্যাকেট কলকাতার বুকেও আছে। রোববার ছোটখাটো স্টুডিয়োতে নগ্ন ফটোশুট হয়। সেখানে অচেনা মডেল বা অভিনেত্রীরা আসেন। এরা টালিগঞ্জের কেউ নন।
দর্শনার আরো দাবি, হাতেগোনা কিছু চিত্রগ্রাহক এই ধরনের নগ্ন ছবি তোলেন। নেটমাধ্যমেও ছড়িয়ে দেন হয়তো। সেই ছবি তার চোখেও পড়েছে।