চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আড়ালে অনৈতিক ব্যবসা করতেন তিনি। মাদক গ্রহণসহ অপরাধ জগতে জড়িত এই নায়িকা। খুবএকটা সিনেমায় অভিনয় করেননি পরীমনি। আবার যে সব সিনেমায় অভিনয় করেছেন, সে সব ব্যবসা সফলও হয়নি। তবে তার লাইফস্টাইল খুবই উচ্চাভিলাষী। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হয় প্রায়ই। পরীমনির এত উচ্চাভিলাষী জীবন-যাপনের অর্থ আসে কোথা থেকে। বিলাসবহুল গাড়ি, ফ্ল্যাট, বিদেশে ভ্রমণ- এসব নিয়ে জল্পনা-কল্পনা লেগেই আছে তাকে নিয়ে। যদিও একেক সময় একেক ঘটনায় আলোচনায় আসেন পরীমনি। কিছু দিন আগে ঢাকার বোট ক্লাবে এক ঘটনায় ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। এবার মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়ে ফের আলোচনায় আসেন এই নায়িকা।
২০২০ সালের ২৪ জুনের কথা। পরীমনির সাদা রঙের হ্যারিয়ার গাড়িটি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গণমাধ্যমে সেটির খবরও ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার রয়েল ব্লু রঙের মাসেরাতি বিলাসবহুল গাড়ির ছবি দিয়ে জানান, তার নতুন গাড়ি।
এই খবরের পরই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। কোথা থেকে এত টাকা পেলেন পরীমনি। মাত্র কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেই এত টাকা দিয়ে কীভাবে এই বিলাসী গাড়ি কিনলেন তিনি। যদিও পরীমনির গাড়িটি কেনার বিষয়ে বলে আসছিলেন, তিনি গাড়িটি ব্যাংক লোন নিয়ে কিনেছেন।
গাড়িটি বিষয়ে কিছুদিন পরে ধামাচাপা পড়ে গেলেও এবার পরীমনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবার এটি সামনে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনির ব্যবহৃত ফিয়াট অটোমোবাইলসের ‘মাসেরাতি’ ব্র্যান্ডের সাড়ে তিন কোটি টাকার গাড়িটির বিষয় উঠে এসেছে। পরীমনি বলেছেন, গাড়িটি ব্যাংক লোন অথবা ক্যাশ টাকা দিয়ে ক্রয় করেননি। একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ওই সম্পর্কের কারণে তার কাছ থেকে গাড়িটি উপহার পেয়েছেন পরীমনি। ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যানের তথ্যও পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ওই ব্যাংক চেয়ারম্যানের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তিনি নজরদারিতে রয়েছেন। এছাড়া ওই ব্যাংকে পরীমণির বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেগুলো ইতোমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে।