1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

মমতার প্রচারণায় নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৯০ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মুসলমানসহ সংখ্যালঘুদের ভোট চাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর ফলে মমতার মঙ্গলবারের সফরসূচি বাতিল হল। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার বারাসত, বিধাননগর, হরিণঘাটা ও কৃষ্ণগঞ্জে মমতার সভা করার কথা ছিল।শনিবার কোচবিহারের শীতলখুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর পরে রবিবার সেখানে যাবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন মমতা। সেই ঘোষণার পরেই কমিশন ৭২ ঘণ্টার জন্য যে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের শীতলখুচিতে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর পরে মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা। তৃণমূলের বক্তব্য, গোটাটাই হচ্ছে বিজেপির নির্দেশে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্ররোচনামূলক বক্তৃতার অভিযোগে মমতাকে পাঠানো নোটিসের জবাবে কমিশন সন্তুষ্ট না হওয়াতেই ২৪ ঘণ্টার এই নিষেধাজ্ঞা।

এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মানুষ এর জবাব দেবে। পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন বিজেপির শাখা সংগঠন। ভোটের বাক্সে এর জবাব দেবে মানুষ।’

দলের অন্যতম মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘এটা গণতন্ত্রের পক্ষে কালো দিন।’

গত ৩ এপ্রিল মমতা তারকেশ্বরের সভা উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না। বিজেপি এলে মনে রাখবেন সমূহ বিপদ, সবচেয়ে বেশি আপনাদের।’

কমিশনের দাবি, ধর্ম বা জাতপাতের ভিত্তিতে ভোট চাওয়া আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী তার প্রার্থীপদ খারিজও করা যেতে পারে। তা নিয়েই নোটিস পাঠায় কমিশন।

কোচবিহারের জনসভা থেকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে একহাত নেন তৃণমূল প্রধান। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘নির্দেশে’ই সিআরপিএফ-এর একাংশ বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘সিআরপিএফ যদি গন্ডগোল করে, মেয়েদের একটা দল মিলে ওদের ঘেরাও করে রাখবেন। আর একটা দল ভোট দিতে যাবেন। শুধু ঘেরাও করে রাখলে ভোট দেওয়া হবে না। তাই ভোট নষ্ট করবেন না। ৫ জন ঘেরাও করবেন। ৫ জন ভোট দেবেন।’

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার মন্তব্যে এর আগে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং কোচবিহারের জেলা শাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল কমিশন। তার জন্য মমতাকেও নোটিস পাঠানো হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com