বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কুমড়িহাট বাজার-হাজীগঞ্জ সড়কের তিন কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার দুই দিন পরেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ধুলামিশ্রিত নিম্নমানের স্থানীয় পাথর এবং পরিমাণে কম ও নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করায় সড়ক থেকে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
স্থানীয়রা বলেন, গত রোববার রাস্তাটির সংস্কার কাজ শেষ করেন ঠিকাদার। কিন্তু মঙ্গলবার থেকেই রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ঠিকাদার এলজিইডি’র প্রকৌশলীদের সঙ্গে মিলে নিম্নমানের ও কম সামগ্রী দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করেছেন। ধুলামিশ্রিত স্থানীয় পাথর ব্যবহারের সময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি।
কুমড়িহাট বাজার এলাকার মাহবুব খান বলেন, রাস্তার সংস্কার কাজে নিম্নমানের এবং কম পরিমাণে পাথর ও বিটুমিন ব্যবহারের প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকি দিয়েছেন ঠিকাদার। আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই পুরো রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
তিনি আরও বলেন, মাত্র ৩৫-৪০ শতাংশ কাজ করে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এমনটা দেখানো হয়। এটা ঠিকাদার ও এলজিইডি’র প্রকৌশলীর চরম দুর্নীতি। আমরা এলাকাবাসী এর অভিযোগ করেছি। আমরা এর সঠিক তদন্ত ও ফলপ্রসু পদক্ষেপ না দেখলে আন্দোলন গড়ে তুলবো।
লালমনিরহাট এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন কিলোমিটার সড়কের সংস্কার করেন নুরে হাসান প্রমাণিক বাবু নামে এক ঠিকাদার। আমদানিকৃত পাথর আর উন্নতমানের বিটুমিন দিয়ে রাস্তাটি ২৫ মিলিমিটার কার্পেটিং করার শিডিউল হয়েছে।
এদিকে, রাস্তাটির সংস্কার কাজে নিম্নমানের ও কম পরিমানে পাথর-বিটুমিন ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার নুরে হাসান বাবু।
তিনি বলেন, এলজিইডি’র প্রকৌশলীর উপস্থিতে রাস্তাটি কার্পেটিং করা হয়। স্থানীয় লোকজন শাবল দিয়ে খুঁড়ে রাস্তাটির কার্পেটিং তুলে ফেলেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এলজিইডি’র আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ওবায়দুর রহমান জানান, তিনি এ উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না। নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে তিনি তদন্ত করছেন।
লালমনিরহাট এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর কাদের এলাহী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। রাস্তাটির সংস্কার কাজ শিডিউল অনুযায়ী না হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও এলজিইডি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।