বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানতে পেরে টিমের সাথে ছুটে যান তিনি ফায়ার কর্মী মো. আলাউদ্দিন। তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি বলে দাবি পরিবারের। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ নগরের প্রায় সকল হাসপাতালে খোঁজ নিয়েও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মো. আলাউদ্দিন (কোড-৬১৪৩) ।
পরিবারের ধারণা, বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনি। তার ৫ বছরের ছেলেও ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না কিছুই।
অপলক দৃষ্টিতে চোখ জোড়া যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে বাবাকে।
এমনটি জানিয়েছেন আলাউদ্দিনের ভাই মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন। তিনি বলেন, আমার ভাই (আলাউদ্দিন) আগুন লাগার পরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাথে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সাথেও যোগাযোগ করেছি কিন্তু তারা কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। এর আগে দুটো লাশ মর্গে এসেছে। আমরা ধারণা করছি তার লাশ এর মধ্যে থাকতে পারে। তবে এখনও শনাক্ত করতে পারিনি।
বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান শিকদার।
নিহত পাঁচজনের মধ্যে মনিরুজ্জামান নামের একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন কর্মী এখনো সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আরও ২ জন কর্মীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহতের সংখ্যা ৪শ’ ছাড়িয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। আগুন লাগার ১৫ ঘণ্টা পার হলেও এখনো সেটি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট।