ক্যাসলেস ট্রানজেকশন বন্ধে কাজ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মহাকাশ ইন্ডাস্ট্রি । প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , প্রশাসন – আইন – আদালত , ব্যাংক – বীমা , সোসাইটি , সিটিজেন এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি সহ মহাকাশ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবে আগামীর ২০৪১ সালের বাংলাদেশ । আমরা জয়ী দুর্বার প্রযুক্তি এগিয়ে নেওয়ার হাতিয়ার । মহাকাশ ইন্ডাস্ট্রির আয় ছিলো ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩৬০ বিলিয়ন ডলার , ২০৪০ সাল পর্যন্ত আয় হবে ৩০৪১ বিলিয়ন ডলার ,২০৫০ সাল পর্যন্ত আয় হবে ৩০৫০ বিলিয়ন ডলার । মহাকাশ ইন্ডাস্ট্রির সঞ্চয় হবে ২০২৩-২৪ সালের মধ্য ৮০০ কোটি এবং ২০৩৫ সালের মধ্য আয় হবে ২২০০ কোটি টাকা । ২০৪০ সালে মহাকাশ ইন্ডাস্ট্রির সঞ্চয় হবে ৪২০০ কোটি টাকা এবং ২০৫০ সালে মহাকাশ ইন্ডাস্ট্রির সঞ্চয় হবে ২০,০০০ কোটি টাকা । বাংলাদেশ কে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক সহায়তা করবে ইউ এন এবং এ টু আই । ২০৪১ সালের ব্লু ইকনোমি কার্যক্রম কে ত্বরান্বিত করতে মহাকাশ প্রযুক্তি হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে সবার আগে ।
স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশে বাংলাদেশ-জাপান স্টার্টআপ বিনিময় করবে।গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৩খ্রি. আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তাঁর দপ্তরে বৈঠক করেন। এসময় তারা দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে আইসিটি খাতে যৌথসহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা স্টার্টআপ, উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশে বাংলাদেশ-জাপান স্টার্টআপ বিনিময়, জাপান-বাংলাদেশ আইটি সামিট, জাপান-বাংলাদেশ আইটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশের ২৫টি স্টার্টআপ এবং জাপানের ২৫টি স্টার্টআপ মোট ৫০টি স্টার্টআপ বিনিময়ের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত একমত পোষণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করাসহ অন্যান্য বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ ও জাপানের একসঙ্গে কাজ করার বেশ সুযোগ রয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমারসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্পারসো-এটুআই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
মহাকাশ বিজ্ঞান ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং এ সংক্রান্ত গবেষণা-উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) এবং এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম-এর মধ্যে আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। স্পারসো এর চেয়ারম্যান মো: আব্দুস সামাদ ও এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন। অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো: হাসিবুল আলম।