বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের টেণ্ডল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নাদেরুজ্জামান ওই বাড়ির মরহুম দলিল রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আত্মহত্যার আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে গেছেন। নিজের জন্য কাফনের কাপড় ও স্ত্রীর জন্য সাদা কাপড় কিনে তা চিরকুটের পাশে রাখেন তিনি। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার ৮০ লাখ টাকার এনজিও ঋণ রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে সাত লাখ টাকা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়।’ নাদেরুজ্জামান চিরকুটটিতে লিখেন যে তার লাশ নামিয়ে গলার রশি খুলে লুকিয়ে ফেলতে এবং লাশ ঘরের মধ্যে শোয়ানো অবস্থায় রেখে দিতে।
তাদের বাড়ির মোশাররফকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, ‘মোশাররফ, আমার মেয়ে রুমাকে ফোন করে জানাবে যে তোমার বাবা অসুস্থ। এসে তারা আমার লাশ দেখবে। আত্মহত্যা জানলে দুই পরিবারের সম্মান নষ্ট হবে।’
এজন্য পারিশ্রমিক হিসেবে মোশারফের জন্য এক হাজার টাকাও রেখে যান তিনি। পুলিশ নাদেরুজ্জামানের হাতে লেখা চিরকুটটি উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, নাদেরুজ্জামান উপজেলার মিঠাছড়া বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী। একটি ব্রয়লার মুরগির খামার ও একটি মুদি দোকান রয়েছে তার। দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। বড় ছেলে বিদেশে থাকেন, মেয়ে বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে থাকেন। স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে মিঠাছড়া বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
জোরারগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার সঞ্জয় কুমার সাহা জানান, গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর অপমৃত্যু মামলা হবে।