বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ সিনেটরের পাঠানো চিঠি প্রত্যাহার করতে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ই-মেইল ও ডাকযোগে সিনেটর রিচার্ড ডারবিন বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন তারা। ওই আইনজীবীরা হলেন- ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে ১২ সিনেটরের পাঠানো চিঠিতে প্রফেসর ইউনূসকে বিদ্যমান হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সরকারের সমালোচকদের টার্গেট করে বিচার ব্যবস্থার যে লঙ্ঘন করা হচ্ছে বিস্তৃতভাবে সেই ধারা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।
চিঠির জবাবে আইনজীবীদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং পৃথক। নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ বা বিচারিক কার্যক্রমে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। এ ছাড়া চলমান বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিবৃতি বা চিঠি প্রদান ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য শ্রম আইনের অধীনে মামলা দায়ের করেছে। সেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। কাজেই ১২ জন সিনেটরের পাঠানো চিঠির মর্মার্থ অনুযায়ী তারা দুর্বল শ্রমিকদের বিপক্ষে এবং সবল মালিকদের পক্ষ নিয়েছেন। যা আইএলও কনভেনশনের লঙ্ঘন।
এতে আরো বলা হয়েছে, একটি দেশের অভ্যন্তরীণ চলমান বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে এই ধরনের তাগিদপত্র দেওয়া শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের শামিল, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নিন্দনীয়। কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া পত্রটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।