বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক:ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই প্রথম দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। কোরবানির পশুর ১১টি হাটের মধ্যে ৭টি হাটের বর্জ্য ইতোমধ্যে শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। বাকি হাটগুলোর বর্জ্যও আজ রাতের মধ্যে অপসারণ করা হবে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, প্রথম দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ আমরা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সম্পন্ন করেছি। সঠিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা প্রথম দিনে এ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। যেহেতু আজকেও কোরবানি হয়েছে, সেজন্য এ কাজ চলমান রয়েছে। ওয়ার্ডভিত্তিক পশুর বর্জ্য অপসারণে সময়ের মানদণ্ডে আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্ধারণ করেছি। এই যে একটি প্রতিযোগিতা সেটি সুস্থ প্রতিযোগিতা। সুতরাং বর্জ্য অপসারণের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞকে আমরা সেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় রূপান্তরিত করতে পেরেছি।
শেখ তাপস বলেন, কোরবানির পশু জবাই বিভিন্ন সময়ে হয়ে থাকে। একেকজন একেক সময়ে তা করে থাকেন। সুতরাং, আমরা পরিষ্কার করে আসার পরে অনেকেই জবাই করা পশুর বর্জ্য বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখেন। এ ধরনের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা থাকে। এছাড়াও অনেকেই কোরবানির পশুর বর্জ্যের সঙ্গে হাটের বর্জ্য মিলিয়ে ফেলেন। তাছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও অনেকেই কোরবানি থাকে। কিন্তু শতভাগ পরিষ্কার হওয়ার পরেই আমরা তা ঘোষণা দিই এবং প্রথম দিনের বর্জ্য বেশ কয়েকটি জায়গায় পড়ে ও তা অপসারণ করা হয়নি, সে বিষয়টি সঠিক নয়।
মেয়র আরও বলেন, এক সময় হাটের বর্জ্য অপসারণে সপ্তাহ লেগে যেত। আমরা হাটের বর্জ্য অপসারণে আলাদা কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি এবং সে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে ইতোমধ্যে ১১টি স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাটের মধ্যে ৭টি হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। হাটের বর্জ্য অপসারণে ইজারায় সুনির্দিষ্টভাবে শর্তাবলী উল্লেখ থাকলেও অনেকের মাঝে গাফিলতি থাকে। তারপরেও আমরা নির্ধারিত ৭২ ঘণ্টা সময়ের পূর্বেই তা সম্পন্ন করতে পারব। বাকি হাটগুলোর বর্জ্যও আজ রাতের মধ্যে অপসারিত হবে।