ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ও বিএনপি অফিস ভাঙচুর করে যথাক্রমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ও তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ । আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জেলা জর্জ কোর্ট চত্বর, চিফ জুডিশিয়াল ও অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের এজলাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে ছাত্র-জনতার মিছিলে উত্তাল ছিল ঠাকুরগাঁও শহর,পীরগঞ্জসহ পুরো জেলা। হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ সব বয়সের মানুষ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবির পক্ষের স্লোগানে কেঁপে ওঠে পুরো জনপদ। এক পর্যায়ে পূর্ব ঘোষিত শোক কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগ রাস্তায় নামলে শান্তপূর্ণ মিছিলটিতে উত্তেজনা দেখা দেয়। শহরের মূল কেন্দ্র বড় মাঠসহ সারা শহরে ছিল সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীরা। যুবলীগ ছাত্রলীগ অবস্থান নেয় শহরের চৌরাস্তাসংলগ্ন আওয়ামী লীগ অফিস থেকে শুরু করে আর্ট গ্যালারি মোড় পর্যন্ত। আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় আওয়ামী সমর্থকরা দলীয় অফিস ছেড়ে আর্ট গ্যালারির দিকে চলে গেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আহত হয়েছে আন্দোলনকারী, পুলিশসহ সংবাদকর্মীরা। রোববার সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বড়মাঠে জড়ো হতে শুরু করে। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।
মিছিলটি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ভাঙচুরে রূপ নেয়। এসময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করতে করতে এগিয়ে যায় বাসস্ট্যান্ড চত্বরে। পরে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহর চৌরাস্তায় আসামাত্র জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় একজন সংবাদকর্মীর মোটরসাইকেলসহ জ্বালিয়ে দেয় এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা।
এদিন বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেন দুর্বৃত্তরা। এসময় পুলিশ আবারও টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঠাকুরগাঁওয়ে আ.লীগের পার্টি অফিসে আগুন, ডিসি কার্যালয় ভাঙচুর। আন্দোলনকারীদের মধ্যে অর্ধশতাধিকের বেশি বলে দাবি তাদের।