বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : করোনা মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালে সেবা বাড়াতে সাড়ে ৮ হাজার নার্স নিয়োগ দেবে সরকার। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের মধ্যে থেকে নার্স নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ মার্চ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ২ হাজার ৫০০ সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। পরে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে সে বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৪ হাজার নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। করোনা পরিস্থিতি আরও নাজুক হলে সরকার সম্প্রতি আরও বেশি নার্স নেওয়ার তাগিদ দেয়। এরই অংশ হিসেবে সরকার পিএসসিকে আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৮ হাজার ৫৩৪ জন নার্স নিয়োগের চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। গত বুধবার সে চাহিদাপত্র পিএসসিতে পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘নার্স ও চিকিৎসক নিয়োগে সরকারের বিশেষ নির্দেশনা আছে। এজন্য আমরা এটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সরকার যতজন নার্স নিয়োগ দিতে চাইবে, পিএসসির কাছে যদি সে পরিমাণ যোগ্য প্রার্থী থাকে, তাহলে নিয়োগ দিতে কোনো সমস্যা নেই।’
এর আগে গত বছরের ১ মার্চে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে সিনিয়র স্টাফ নার্সে পদের সংখ্যা ২ হাজার ৫০০ বলা হয়েছিল। গত ২৮ জানুয়ারি সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এরপর গত ১০ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে পিএসসি। তবে করোনোভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। সে পরীক্ষার পুনর্নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৫ হাজার ২২৮ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন। পরে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
করোনা সংকট মোকাবিলায় ৩৯তম বিসিএসের মাধ্য।মে ২ হাজার চিকিৎসক ও ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয় পিএসসি।
এছাড়া, করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে আরও ২ হাজার চিকিৎসককে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে গত বছর ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (লিখিত টাইপ) হয়। পরীক্ষার এক মাস পর ২৯ মার্চ ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হয় ৬ হাজার ২২ জন। করোনার কারণে এর মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে আরেকটি বিশেষ বিসিএস আসছে। ৪৪তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ হবে ৪০৯ জন চিকিৎসক। তবে, অন্যান্য বিশেষ বিসিএসে প্রিলিমিনারি এবং ভাইভা হলেও এ বিসিএসে শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ হবে। সেজন্য পিএসসির নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে চলতি মাসেই এ নিয়োগের সার্কুলার দেওয়া হতে পারে।