গোকুল চন্দ্র রায়, বীরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সন্ধ্যায় নেমে আসছে ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যাতেই ধীর গতিতে যানবাহন চলছে। সকালে পৌর শহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়িগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও নেই তাপমাত্রা। বিকাল হলেই শুরু হয় বাতাস, কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপর্যস্ত শিশু ও বয়স্কদের জনজীবন। রাতের হিমশীতল বাতাসের কারণে এ উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেশি বিরাজ করছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সন্ধ্যায় ও সকালে রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল।
গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছে। অন্যদিকে তীব্র এই শীতকে উপেক্ষা দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান ও অটোচালকরা।
ভ্যানচালক আব্দুল ওহাব বলেন, গরীব মানুষের বসে থাকার উপায় নেই। সংসারের কথা ভেবে বয়স্ক হলেও প্রতিদিন বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। যতই শীত হোক, দিন এনে দিন খাই।
দোকান ব্যবসায়ী হাতেম আলী বলেন, শীতের কারণে মানুষজন সন্ধ্যার পর না থাকায় দোকান বন্ধ করতে হয়। আগের তুলনায় বেচাকেনা নেই বলে জানান দোকানদাররা।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শনিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার।