বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: জাবির (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন ইফতারের সময় অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দেন। আর প্রতিরাতেই তা সংঘটিত হয়ে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬৪৩)
রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের অনেক মূল্য রয়েছে ইসলামে। বিশেষ করে দোয়া করা, ইফতারে বিলম্ব না করা এবং অন্যকে সঙ্গে নিয়ে ইফতার করা অনেক বরকতপূর্ণ আমল।
জাবির (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন ইফতারের সময় অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দেন। আর প্রতিরাতেই তা সংঘটিত হয়ে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬৪৩)
ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেন, ‘যখন রাত সেদিক থেকে ঘনিয়ে আসে এবং দিন এদিক থেকে ওদিক চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায় তখন রোজার ইফতার করবে।’ (বুখারি: ১৮৩০)
হাদিসের আলোকে এখানে ইফতারের সময়ের সুন্নত আমলগুলো তুলে ধরা হলো।
ইফতারির সময়টাতে গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হলো দোয়া করা। এই সময়ে দোয়া কবুলের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া রদ হয় না। ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ, সাওম পালনকারী- যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং মজলুমের দোয়া। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা এই শ্রেণির মর্যাদা এ মেঘমালার ওপর রাখবেন এবং তাদের জন্য আসমানের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আর আল্লাহ বলবেন, আমার ইজ্জতের কসম! একটু পরে হলেও আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব। (তিরমিজি: ৩৫৯৮; ইবনে মাজাহ: ১৭৫২)
ইফতারের আগমুহূর্তে যেকোনো দোয়া করা যায়। হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো পাঠ করা উত্তম। ওই সময় এই ছোট্ট দোয়া পাঠ করা যায়—‘ইয়া ওয়াসিআল মাগফিরাহ ইগফিরলি।’ (শুয়াবুল ঈমান: ৩৬২০)
ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করতে হয়। বিনা কারণে বিলম্ব করা সুন্নতের পরিপন্থী। সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘লোকেরা যত দিন ওয়াক্ত হওয়া মাত্র ইফতার করবে তত দিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে।’ (বুখারি: ১৮৩৩; মুসলিম: ২৪২৫) যথাসময়ে ইফতারকারী ব্যক্তি আল্লাহর প্রিয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমার কাছে প্রিয়তম বান্দা সে যে অবিলম্বে ইফতার করে। (তিরমিজি: ৭০০)