ডেস্ক: ব্যাংকের একক গ্রাহকের ঋণসীমা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে একটি ব্যাংক ফান্ডেড ১৫ শতাংশ ও নন-ফান্ডেড ২০ শতাংশ মিলিয়ে একজন গ্রাহককে মোট মূলধনের সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। এ সীমা পরিবর্তন করে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে জ্বালানি খাতে ফান্ডেড ও নন ফান্ডেড মিলিয়ে মোট মূলধনের ৫০ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে এসব নির্দেশনা কার্যকর হবে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, যেকোনো সময়ে একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা গ্রুপকে দেয়া ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণ সুবিধা আসল অংকের মোট পরিমাণ কোনোভাবেই সেই ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি হবে না। আর একক কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে দেয়া ফান্ডেড ঋণ সুবিধা আসল অংকের মোট পরিমাণ আগের মতোই ব্যাংকের মোট মূলধনের ১৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফান্ডেড ঋণ নগদ অর্থে এবং নন ফান্ডেড ঋণ লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) হিসেবে দেওয়া হয়।
৩ শতাংশের কম ঋণ খেলাপি হলে মোট মূলধনের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। ৫ শতাংশের কম ঋণ খেলাপি হলে ৪৬ শতাংশ বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে। ১০ শতাংশের নিচে ঋণ খেলাপি হলে বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে ৪২ শতাংশ। ১৫ শতাংশের কম ঋণ খেলাপি হলে বড় ঋণ দিতে পারবে ৩৮ ভাগ। ২০ শতাংশের কম ঋণ খেলাপি হলে বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে ৩৪ শতাংশ। ২০ শতাংশ বা তার বেশি ঋণ খেলাপি হলে বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে ৩০ শতাংশ।
ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা জোরদার এবং ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের উদ্দেশে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। ব্যাংকিং কোম্পানি আইন অনুসারে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা।