1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক *বসুন্ধরা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে প্রশিক্ষণ, সনদ পেলেন ৪০ জন* পটুয়াখালী জেলায় বহুল কাঙ্খিত গলাচিপা সেতুটি হলে কমবে পথ, বাঁচবে সময় ঠাকুরগাঁওয়ের খুদে শিক্ষার্থীদের বিস্ময়কর প্রতিভ আগামীকাল হাসান আরিফের দাফন বড়দিন ও থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে রাজস্থলীতে প্রশাসনের বিশেষ সভা। কালিহাতীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ট্রাকসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার সীতাকুণ্ড শুকলালহাটে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত আলোকদিয়ায় যমুনার ভাঙনের মুখে বসতবাড়ি ও বৈদ্যুতিক টাওয়ার ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে স্ত্রীর নির্যাতন মামলায় উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার বরখাস্ত

অজু ছাড়া সালাত গ্রহণযোগ্য নয়

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৬১ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ইসলামে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় ফরজ বা অবশ্যপালনীয় ইবাদত। যে কোনো ইবাদতের আগে অজু করা বাধ্যতামূলক। নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে অজুর তুলনা নেই। অজু ছাড়া সালাত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। সালাত আদায়ের আগে অজুর দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। কারও জন্য গোসল করা ফরজ হলে অজু ও গোসল দুটিই করতে হবে।

হজরত আমর ইবনে আবাসা (রা.) বলেন, ‘আমি আরজ করলাম ইয়া রসুলুল্লাহ! অজুর মধ্যে ফায়দা কী? তিনি বললেন, যখন তুমি অজু করবে ও দুই হাতের কবজি পরিষ্কার করে ধোবে, তখন গুনাহগুলো আঙুলের অগ্রভাগ ও নখ দিয়ে বের হয়ে যাবে। এরপর যখন তুমি কুলি করবে, নাকে পানি দিয়ে দুই নাকের ছিদ্র পরিষ্কার করবে, মুখ ও হাত দ্বারা কনুই পর্যন্ত ধোবে, মাথা মাসেহ করবে ও উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধোবে তখন তুমি যেন তোমার গুনাহগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে দিলে। এরপর যখন তুমি তোমার চেহারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জমিনে রাখবে (সালাত আদায় করবে) তখন তুমি এমনভাবে গুনাহ থেকে নিষ্পাপ হয়ে যাবে যেদিন তোমার মা তোমাকে জন্ম দিয়েছিল।’ নাসায়ি, মুসলিম।

অন্য বর্ণনায় আছে, হজরত উকবা ইবনে আমের জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে কোনো মুসলমান পরিপূর্ণভাবে অজু করে এরপর (দুই রাকাত) সালাত এমন ধ্যানের সঙ্গে আদায় করে যে যা সে পড়ছে তা সে জানে, তাহলে সদ্যভূমিষ্ঠ বাচ্চার মতো তার গুনাহ মাফ হয়ে যায়। অর্থাৎ তার আর কোনো গুনাহই অবশিষ্ট থাকে না।’ মুস্তাদরাকে হাকেম-জাহাবি।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ (রসুলকে স্বপ্নের মাধ্যমে) ইরশাদ করেছেন, হে মুহাম্মদ! আমি আরজ করলাম, হে আমার রব! আমি হাজির আছি। ইরশাদ হলো, নৈকট্যশীল ফেরেশতারা কী বিষয় নিয়ে পরস্পর বিতর্ক করছে? আমি আরজ করলাম, সেসব আমল সম্পর্কে যা গুনাহর কাফফারা হয়। (ইরশাদ হলো, সেই আমলগুলো কী? আমি আরজ করলাম), জামাতে সালাত আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে যাওয়া, কষ্টকর অবস্থায় (যেমন শীত মৌসুমে বা মন না চাইলেও) উত্তমভাবে অজু করা এবং এক সালাতের পর আর এক সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। যে ব্যক্তি এগুলোর ওপর নিয়মিত আমল করবে সে জীবনযাপন ও মৃত্যুবরণ করবে কল্যাণের সঙ্গে। আর সে তার গুনাহ থেকে পরিত্রাণ পাবে ওই দিনের মতো যেদিন মা তাকে ভূমিষ্ঠ করেছে।’ মাজমায়ুজ জাওয়ায়েদ, তিরমিজি।

ইমাম গাজ্জালি (রহ.) তাঁর ছাত্রদের অজুর নিয়ম-কানুন শিখিয়ে বলেন, ‘অজুর শুরুতে তোমরা মিসওয়াক করবে অর্থাৎ দাঁত মেজে নেবে। দাঁত পরিষ্কার না থাকলে মানুষ তোমার থেকে কষ্ট পাবে। অজু করার সময় কাবামুখী হওয়া ভালো। শুরুতে আল্লাহর কাছে এই বলে নেবে, পরম দয়াময় আল্লাহর নামে অজু শুরু করছি। হে আল্লাহ! শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও ধোঁকা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। সে যেন আমার কাছে ঘেঁষতে না পারে। তারপর অজু শুরু করবে।’ আল্লাহ আমাকেসহ সবাইকে সঠিকভাবে অজু করার তৌফিক দান করুন।
লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com