বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : দীর্ঘ প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টা দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করেছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। কিন্তু ১৯৯ রানে পৌঁছাতে মনঃসংযোগ নড়ে যায় তার। নাঈম হাসানের নিরীহ গোছের এক বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি ডেকে আনেন বিপদ। স্কয়ার লেগে সাকিব আল হাসান ক্যাচ লুফে নিলে আক্ষেপে পুড়তে হয় ম্যাথিউসকে।
সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ১৯৯ রানে সাজঘরে ফেরেন ম্যাথিউস। তাকে আউট করা অফ স্পিনার নাঈম টেস্টে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ১০৬ রানে নেন ৬ উইকেট। তার বিদায়ে তৃতীয় সেশনে ৩৯৭ রানে থামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস।
বাংলাদেশের মাটিতে ১৯৯ রানে আউট হওয়া প্রথম ব্যাটার ম্যাথিউস। চার নম্বরে নেমে ধৈর্যের অনুপম নিদর্শন রেখে ৩৯৭ বল মোকাবিলা করেন তিনি। ১৯ চারের সঙ্গে তার ব্যাট থেকে আসে ১ ছক্কাও। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুসল মেন্ডিসের সঙ্গে ৯২ ও পঞ্চম উইকেটে দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন ম্যাথিউস।
১৭৮ রান নিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছিলেন ম্যাথিউস। ঝুঁকি না নিয়ে খেলতে থাকায় শেষ দুই ব্যাটারকে নিয়ে লঙ্কানদের চারশ আর তার দুইশ দুটোই যেন ছিল নাগালে! কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পারেননি। বাউন্ডারি দিয়ে নিজের দ্বাদশ টেস্ট সেঞ্চুরিকে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে গিয়ে কাটা পড়েন এই অভিজ্ঞ ডানহাতি।
ব্যক্তিগত ৬৯ আর ১১৯ রানে দুবার সুযোগ দিয়েছিলেন ম্যাথিউস। কিন্তু স্বাগতিক বাংলাদেশ তা লুফে নিতে ব্যর্থ হয়। ধৈর্য ও নিবেদন দেখিয়ে এবং পরিস্থিতি অনুসারে ব্যাট চালিয়ে ম্যাথিউস স্থাপন করেন অনবদ্য এক নজির। তবে সেটা শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা পায়নি তার নাটকীয় বিদায়ে।
ক্রিকেটের সবচেয়ে কুলীন সংস্করণে ১৯৯ রানে আউট হওয়া দ্বাদশ ক্রিকেটার ম্যাথিউস। বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন ঘটনা এই নিয়ে ঘটল দ্বিতীয়বার। এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পচেফস্ট্রুম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ডিন এলগার দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিলেন। তার উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
সাদা পোশাকে ১৯৯ রানে আউট হওয়া প্রথম ব্যাটার ছিলেন মুদাসসর নজর। ১৯৮৪ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে প্রায় দশ ঘণ্টা ক্রিজে থেকেও হতাশ হতে হয়েছিল তাকে। ৪০৮ বল খেলে ২৪ চার মেরে শিবলাল যাদবের বলে উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানির হাতে ধরা পড়েছিলেন তিনি।