কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বিকেল সোয়া ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে দেশের ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাব আবাহনী-মোহামেডান।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা ৩-৩ ড্র হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত (৩০ মিনিট) সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও খেলা ৪-৪ ড্র হয়।
যে কারণে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুটআউটে আবাহনীকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ১৪ বছর পর শিরোপার উল্লাসে মেতে ওঠে মতিঝিলের ক্লাব আবাহনী।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য আাধিপত্য বিস্তার করে আবাহনী। প্রথমার্ধে তারা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। কিন্তু মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে মোহামেডানের অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতের জোড়া গোলে দারুণভাবে খেলায় সমতায় ফেরে।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। খেলার ৪৩তম মিনিটে কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ধানমণ্ডির ক্লাবটি।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় দৃশ্যপট। চার মিনিটের ব্যবধানে অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের জোড়া গোলে সমতায় ফেরে মোহামেডান।
মোহামেডান সমতা আনার মিনিট পাঁচেক তথা খেলার ৬৫ মিনিটে নাইজেরিয়ান এমেকার গোলে আবাহনী ফের (৩-২) ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
৮৩ মিনিটে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মোহামেডানের অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতে। তার কল্যাণে মোহামেডান আবারও (৩-৩) সমতায় ফেরে।
খেলার ১০৫ মিনিটে সোলেমান দিয়াবাতে গোলের জন্য এগিয়ে যান। আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে একা পেয়ে নিজের চতুর্থ গোলের জন্য মরিয়া ছিলেন তিনি।
গোল ঠেকাতে পা বাড়িয়ে দেন গোলরক্ষক সোহেল। রেফরি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি শটে মোহামেডানের অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতে গোল করে দলকে ৪-৩ এ এগিয়ে নেন।
১১৯ মিনিটে রহমতের দুর্দান্ত গোলে ফের সমতায় ফিরে আবাহনী। অতিরিক্ত সময়ে খেলা ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে আবাহনীর দুই বিদেশি খেলোয়াড় রাফায়েল এবং দানিয়েল কলিঞ্জ গোল মিস করায় জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে মোহামেডান।