রাজধানীর আগারগাঁয়ে সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টার থেকে শনিবার তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নুসরাতের স্বামী মামুন মিল্লাত পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামুন মিল্লাত নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নুসরাতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন। বিয়ের পর থেকে তারা ওই কোয়ার্টারে সাবলেটে বসবাস করে আসছিলেন।
পুলিশ জানায়, নিহত নুসরাত ছিলেন উপজাতি। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের নেত্রী। মামুন মিল্লাতকে বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন নুসরাত।
নুসরাতের স্বজনদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানায়, নুসরাত ২০১৯ সালে মামুন মিল্লাতকে বিয়ে করেন। ওই সময় মামুন নিজেকে ৩৮তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর নুসরাত জানতে পারেন, মামুন মিল্লাত পুলিশ কর্মকর্তা নন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়, যা প্রতিদিনই লেগে থাকত।
পুলিশ জানায়, মামুন শনিবার বেলা ১১টার পর বাসার বাইরে চলে যান। এর ঘণ্টা-দেড়েক পর প্রতিবেশীরা নুসরাতকে ডাকাডাকি করে তার সাড়া পাননি। এ সময় সন্দেহ হলে এক প্রতিবেশী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। শনিবার বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে পুলিশ বি-২ নম্বর কোয়ার্টারে গিয়ে বাসার দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসার দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে নুসরাতের গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় দেখতে পায়। লাশ উদ্ধার করে বিকালে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানান, শনিবার সকালেও তারা নুসরাত-মামুনের ঝগড়া শুনেছেন। তারা প্রায়ই ঝগড়া করতেন। গত তিন মাস ধরে ওই দুইজন সাবলেট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সী রোববার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নুসরাতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিটমাটের প্রস্তাব দিয়েছে মামুন। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, মামুন ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা জানার পর থেকে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়।মামুন পুলিশের কেউ নন। তিনি নুসরাতের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।