ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে হিট স্ট্রোকে লতিফা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। লতিফা বেগম উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের নারগুন গ্রামের মৃত মোকসেদুলের স্ত্রী।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের সিংহাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ পায় তার দেবর ইলিয়াস। সোমবার সকালে দেবরের পরিবর্তে শ্রমিক হিসেবে কাজে আসেন লতিফা বেগম। এ সময় একটি মাটির রাস্তা সংস্কারে মাটি কাটার কাজ করছিলেন তিনি। এসময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অন্য শ্রমিকরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের বলেন, ওই নারী শ্রমিক কাজ করার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। কিছু দিন আগে এই নারীর স্বামীও হৃদরোগে মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.শামীমুজ্জামান বলেন, ধারণা করছি অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকের কারণে ওই নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে হলে রোদের পিক টাইমগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলার আজকের তাপমাত্রার নিশ্চিত তথ্য না পাওয়া গেলেও কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, আজকের তাপমাত্রা ৪০ ছুঁয়েছে।
হরিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, নারী শ্রমিক লতিফা বেগমের মরদেহ সুরতহাল রিপোর্টের পর হিট স্টোকে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। তার স্বজনদের কোনো আপত্তি না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা নুর নেওয়াজ আহমদ। তিনি বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে তিনি মাটি কাটা কাজ করছিলেন৷ ধারণা করা হচ্ছে তাপপ্রবাহ সহ্য না হওয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান৷ আমি খবর জানার পর, মৃতের অন্য কোনো সমস্যা ছিলো কিনা সেটা তদন্ত করারও নির্দেশ দিয়েছিলাম। তবে সংশ্লিষ্টরা আমাকে যে তথ্য জানান, তাতে মনে হচ্ছে, মৃত্যুর কারণ হিটস্ট্রোক। তিনি অতিরিক্ত তাপে প্রখর রোদের মধ্যে বয়ষ্কদের সাবধানে কাজ করার পরামর্শ দেন।