শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানে এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, যদি লকডাউনে মিল কারখানা বন্ধ থাকতো, তাহলে এতো নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হতো না। একদিকে লকডাউন নিয়ে সরকারের দ্বৈত নীতি, অন্যদিকে কর্মস্থলে অনিরাপদ পরিবেশ ও উদাসীনতার জন্যই এতগুলো জীবন ঝরে পড়ল।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অগ্নিকাণ্ডে বিকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে ৫২ জনের প্রাণহানি ও অনেক মানুষের আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী। এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার-পরিজনদেরকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। আমি তাদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য সরকার একদিকে লকডাউন ঘোষণা করেছে, অন্যদিকে মিল-কল কারখানা চালু রেখেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে এসে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে নির্মমভাবে জীবন দিতে হলো খেটে খাওয়া শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মিল-কলকারখানা, বাসা, বাড়ি, হোটেল, রেঁস্তোরা, মার্কেট, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড, গ্যাস বিস্ফোরণসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রাণ দিচ্ছে নিরীহ মানুষ। অথচ, এসব দুর্ঘটনা রোধে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
কল-কারখানাসমূহে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নাই। শ্রমিক কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তা নাই। দুর্ঘটনা ঘটার পর সরকার তদন্ত কমিটি করে, বিভিন্ন আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরে তা আর আলোর মুখ দেখে না। মর্মান্তিক এসব দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জোর দাবিও জানান।