বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিংয়ের মোগলটুলি এলাকায় জুয়ার আসর বসিয়ে আসছেন ফরিদা বেগম (৫০)। নিজের চারটি ঘরের মধ্যে তিনটি ঘর ভাড়া দিয়ে অন্য ঘরটিতেই বসান আসর। আর সেই জুয়াড় আসরে বিভিন্ন স্থান থেকে জুয়াড়ি নিয়ে আসতেন তার মেয়ে জামাই আব্দুর রহিম (৪৫)। তবে পুলিশের অভিযানে তাদের ৮ খদ্দেরসহ এবার ধরা পড়লেন জামাই-শাশুড়ি।
শনিবার বিকেলে বিষয়টি জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। এর আগে গভীর শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন— মো. আব্দুল হক বাবুল (৪২), মো. মিন্টু হাওলাদার (২৭), মো. কবির (৪০), জাফরুল্লাহ (৪৯), জাহাঙ্গীর আলম (৪১), মিজানুর রহমান পারভেজ (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৫০) ও বদিউল আলম (৪৭)।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ফরিদা ও আব্দুর রহিম দীর্ঘদিন ধরেই মোগলটুলি এলাকায় জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিলেন। মোগলটুলির আহসান উল্লাহ মাতব্বর বাড়িতে ফরিদার চারটি ঘর আছে। এর মধ্যে তিনটি ঘর ভাড়া দিয়েছেন, আর বাকি ঘরটিতে জুয়ার আসর বসিয়েছেন। জামাই রহিম বিভিন্ন স্থান থেকে জুয়াড়ি নিয়ে আসতেন। মূলত রাতের বেলাতেই এই জুয়ার আসর বসে। কারণ, জামাই-শাশুড়ির এই জুয়ার আসরের জুয়াড়িদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের। সারাদিন কাজ করে রাতের বেলাতেই তারা জুয়ার আসরে বসেন।
গত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফরিদা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে আসেন এবং পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু করে জুয়াড়িদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউ পালিয়ে যেতে পারেনি।
ওসি আরও বলেন, জুয়ার আসর থেকে ৮ জনকে এবং জুয়ার আসরের পরিচালক শাশুড়ি ফরিদা বেগম ও জামাই আব্দুর রহিমকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে জুয়ায় ব্যবহৃত ২ হাজার ৭২৫ টাকা এবং ৩ সেট তাস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০ জনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।