পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলছাত্রী রাতে পাশের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। এসময় ওই গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন (১৮), শফিকুল ইসলামের (কলু) ছেলে সুমন (১৮) ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া উপজেলার ধানঘুরা গ্রামের রেজাউল সর্দারের ছেলে নাহিদ হাসান (২৫) তার মুখ চেপে ধরে পাশের পুকুর ধারের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে তারা পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় কিশোরীর স্বজনদের সাড়া পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। সোমবার রাতে থানায় মামলা হলে ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাগর হোসেনকে আটক করা হয়।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমি গরিব ও ভ্যানচালক হওয়ায় ওরা আমাকে ঘটনা জানাজানি করলে জীবননাশের হুমকি দেয়। সোমবার রাতে সামাজিক বিচারের নামে গ্রামের প্রভাবশালীরা একটি ঘরে আমাদেরকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনের নামে শার্শা থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সাগর স্বীকার করেছে তারা তিনজন এ অপকর্মে লিপ্ত ছিল। অন্য দুজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার দুপুরে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।