বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: যশোরের শার্শায় মায়ের ওপর অভিমান করে নিজের মেয়েকে বিষপান করিয়ে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন সুমি খাতুন (৩০) নামে এক নারী। বিষপান করিয়ে হত্যা করা আখি মনির বয়স ছয় বছর।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের শুড়ারঘোপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মেয়েকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করা সুমি খাতুন ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন বছর আগে সুমি খাতুনের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিন বছর বয়সী শিশু কন্যা আখি মনিকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি। বাবার বাড়িতে থাকা নিয়ে প্রায়ই পরিবারের সদস্যরা তাকে নানান কটুকথা শোনাতেন।
মঙ্গলবার একই বিষয় নিয়ে সুমি খাতুনের মা বকাঝকা করেন। মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর অভিমান করে নিজের ছয় বছরের মেয়ে আখিকে বিষপান করান সুমি। মেয়ে মারা যাওয়ার পর তিনিও বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোমিনুল হোসেন জানান, রাত ৮টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সুমি খাতুন প্রথমে মেয়েকে বিষপান করান। এরপর নিজেও বিষপান করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আখি মনিকে (৬) মৃত ঘোষণা করেন। তবে তখনও বেঁচে ছিলেন সুমি খাতুন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে সুমিও মারা যান। মরদেহ দু’টি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।