বঙ্গনিউজবিডি, ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ কৃষি প্রধান দেশে কৃষকেরাই হচ্ছে মূল চালিকাশক্তি। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই পারে শান্তি সুখের সৌরভ ছড়াতে। সঠিক ও স্থির পরিকল্পনাই পারে ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে। তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন আর্দশ চাষি মনিরুজ্জামান।
নীলফামারী ডিমলা উপজেলা ৬ নং নাউতারা ইউনিয়ন সাতজান মৌলভীটারী মৌজার, মোঃ সামছুল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান শিক্ষিত বেকার।
রবিবার দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসার সেকেন্দার আলী বাগান পরিদর্শন কালে বলেন,জাঁইকার অর্থায়নে এবারে আমরা ৯ একর জমিতে বারি মাল্টা চাষ করিয়েছি এবং ১০ জন মাল্টা চাষিকে প্রশিক্ষন করিয়েছি।
এভাবে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করলে কৃষি অর্থনীতির চাকা বদলে যাবে এবং ডিমলায় কৃষি খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় কথা হয় আদর্শ কৃষক মনিরুজ্জামানের সঙ্গে তিনি প্রতিবেদক বলেন, আমি জীবন জীবিকার টানে কুমিল্লায় কাজ করতে যাই। সেখানে কৃষি দিবানিশি অনুষ্ঠান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে, বাড়ী ফিরে বাঁশ ঝাঁড় কেটে, ডিমলা উপজেলা কৃষি অফিসের যোগসাজসে প্রথমে ২৫ শতাংশ জমিতে বারি মাল্টা চাষ করি। এতে আমি লাভবান হই।
বর্তমানে দেড় বিঘা জমিতে বারি মাল্টা চাষ করেছি এবারে বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি দুই লক্ষ টাকা বিক্রি হবে ইনশাআল্লাহ। এর পাশাপাশি বারি মাল্টার চারা রোপন করেছি। তা বিক্রির প্রত্রুীয়া অব্যহত রয়েছে। অল্প খরচে বেশি আয়ের উৎস পেয়েছি। এর দ্বারা আপনিও পারেন বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে।
ছেলের এ সাফল্যের ব্যাপারে তার মাতা উম্মে কুলছুম বলেন, আমার ছেলের পাশাপাশি অন্যরাও যেন লাভবান হয় এই দোয়া করি।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, বারি মাল্টা দোআঁশ মাটিতে ভাল জন্মে এ জাতীয় মাল্টা খেতে বড়ই সুস্বাদু।