এর আগে গত শনিবার রাতে নোয়াখালীর সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মানিকের সঙ্গে রং নাম্বারে প্রেমের সম্পর্ক হয় নেত্রকোনার মদন উপজেলার ভুক্তভোগী তরুণীর বড় বোনের। দীর্ঘদিন আগে প্রেমের টানে মানিক মিয়া মদন উপজেলায় এসে ওই তরুণীর বড় বোনকে বিয়ে করে মদনেই সংসার জীবন শুরু করেন। সংসার জীবনে ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের।
সম্প্রতি মানিক মিয়া তার শ্যালিকাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার একপর্যায়ে ওই তরুণী (শ্যালিকা) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে মানিক মিয়া পালিয়ে নোয়াখালীতে চলে যান।
এদিকে গত জুন মাসে ওই তরুণী (শ্যালিকা) একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী নেত্রকোনা আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ২১ সেপ্টেম্বর মদন থানায় মামলা রুজু করা হয়। এর প্রেক্ষিতে মদন থানার এসআই আব্দুল আজিজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার রাতে নোয়াখালীর সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রাম থেকে মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে মদন থানায় নিয়ে আসেন।
মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মানিক মিয়াসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। প্রধান আসামি মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে রোববার বিকেলে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।