শুক্রবার বিশ্ব প্রবীণ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা বলছে, জীবনসঙ্গীবিহীন (বিধবা, বিপত্নীক, অবিবাহিত) প্রবীণদের মাঝে অপুষ্টির হার ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ও পুষ্টিহীনতার ঝুঁকির হার ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রবীণদের অপুষ্টির জন্য চিহ্নিত প্রধান কারণ হিসেবে গবেষণায় বলা হয়েছে, বিষণ্ণতা, মুখ ও দাঁতের খারাপ স্বাস্থ্য, বিশেষ খাদ্য পরিহারের অভ্যাস এবং অসংক্রামক রোগের উপস্থিতি। বিষণ্ণতায় ভোগা প্রায় ৪০ শতাংশ প্রবীণ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
এতে আরো বলা হয়, সারা বিশ্বেই অন্যান্যদের তুলনায় প্রবীণদের মধ্যে অপুষ্টি বা পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবীণের সংখ্যা আনুমানিক ১.৫ কোটি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালে সংখ্যাটি ৩.৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
১২৫ জন প্রবীণকে নিয়ে এ গবেষণাটি সম্পন্ন করা হয়েছে। গবেষণা কাজে প্রধান গবেষক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের ডা. কে এম তৌহিদুর রহমান এবং তত্ত্বাবধায়ক গবেষক হিসেবে ছিলেন ডা. মো. খালেকুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
গবেষণায় বলা হয়, স্বাভাবিকের তুলনায় বিষণ্ণতায় ভোগা প্রবীণদের অপুষ্টিতে ভোগার সম্ভাবনা ১৫ দশমিক ৬ গুণ বেশি। যেসব প্রবীণদের মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য খারাপ, তাদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ অপুষ্টিতে ভুগছেন। মুখ ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য থাকা প্রবীণদের তুলনায় মুখ ও দাঁতের খারাপ স্বাস্থ্যযুক্ত প্রবীণদের অপুষ্টিতে ভোগার সম্ভাবনা ৭ দশমিক ৩ গুণ বেশি। মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, এবং ডিম জাতীয় খাবার পরিহার করায় প্রবীণদের মধ্যে অপুষ্টি এবং পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি বাড়ছে। স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত প্রবীণদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেশি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।