বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ও সাবেক এমডি এবং সিইও মো. হেমায়েত উল্লাহর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) তোপখানা রোডের ফারইস্ট টাউয়ারের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, আমাদের প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্দয় ও বে-আইনিভাবে চাকরিচ্যুত করেছে সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ও সাবেক এমডি এবং সিইও মো. হেমায়েত উল্লাহর। কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়মের সাথেও জড়িত এরা। তাই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে বিভিন্ন প্লাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেয় চাকরিচ্যুতরা। এসব প্ল্যাকার্ডে ‘দুর্নীতিবার নজরুল হেমায়েত রাজ্জাকের ফাঁসি চাই’, ‘লক্ষ গ্রাহকের পাওনা ফিরিয়ে দাও’, আলমগীর কবির, সিএফও’র ফাঁসি চাই, দিতে হবে’ প্রভৃতি লেখা দেখা যায়।
এ সময় সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ও সাবেক এমডি এবং সিইও মো. হেমায়েত উল্লাহর দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি না দিলে কোম্পানি গ্রহণযোগ্যতা হারাবে বলেও জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি অপসারিত চেয়ারম্যান, মুখ্য নির্বাহী ও তাদের দোসররা কোম্পানির ফান্ড, এফডিআর’র টাকা আত্মসাৎ সহ ফারইস্ট টাওয়ার-২, মিরপুরের এমপ্লয়িজ সোসাইটি ও গুলশানের জমি, গুলশানের বিল্ডিং, বরিশাল ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানের জমি কেনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের নামে বিপুল অংকের টাকা চুরি করেছেন।
এ ছাড়াও কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ফারইস্ট টাওয়ারে ডাটা সেন্টার স্থাপন ও অফিস ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের প্রকৃত খরচের তুলনায় ১০ গুণ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত খরচ বেশি দেখিয়ে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন কোম্পানিটির সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, মুখ্য নির্বাহী হেমায়েত উল্লাহ ও তাদের দোসররা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান-মুখ্য নির্বাহী তাদের দুর্নীতি ঢাকতে প্রায় ৪ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করেছে। চাকরিচ্যুত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। করোনা মহামারীর মধ্যেও অনেকের বেতন ভাতা আটকে রাখা হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সাবেক জোনাল ইনচার্জ ও চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহক পরিষদ (প্রস্তাবিত)’র আহবায়ক এস এম নুরুল্লাহ সিদ্দিকী, কোম্পানিটির সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা মনির হোসেন, জেএসভিপি আবদুস সালাম, ক্লেইম বিভাগের ইনচার্জ আকবর আলী, আইটি বিভাগের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন, ক্যাশিয়ার আনিসুর রহমান, জেভিপি আনিসুর রহমান কামাল প্রমুখ।