বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সপ্তম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপে ভোট হবে ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
১৩৮ ইউপির মধ্যে ৯টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ( ইভিএম) এবং বাকি ১২৯টিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, সপ্তম ধাপের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিয়ম অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল, ট্রাক ও পিকআপ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত গাড়ি এবং জরুরি সেবার সব ধরনের যান চলাচল করবে।
ইসি থেকে পাঠানো তথ্যানুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ জন করে সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি মোবাইল ফোর্স থাকবে। প্রতি তিন ইউনিয়নে এদের সমন্বয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়া র্যাবের সমন্বয়ে প্রতি উপজেলায় মোবাইল টিম দুটি এবং একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। বিজিবির সমন্বয়ে প্রতি উপজেলায় মোবাইল টিম দুটি এবং একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে দুটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
এদিন এক হাজার ৩৫০টি ভোটকেন্দ্রের সাত হাজার ৮৫টি ভোটকক্ষে ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৮২ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৬ জন, নারী ভোটার ১১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৯ জন এবং তিনজন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরদিন থেকে নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণের পূর্বের দুইদিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দিন অর্থাৎ মোট চারদিনের জন্য কমপক্ষে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, সপ্তম ধাপে ৭১ জন প্রার্থী বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৭ জন নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৭৪ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭৬ জন, সংরক্ষিত পদে এক হাজার ২৩৬ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে চার হাজার ৬২ জন।
ইতোমধ্যে ছয় ধাপের ইউপি ভোট সম্পন্ন হয়েছে। অষ্টম ও শেষ ধাপে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আটটি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।