বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক :মানিকগঞ্জ শহরে তিন বছরের শিশু ছেলেকে রেখে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে জেলা শহরের উত্তর সেওতা এলাকার একটি ভাড়াবাসার ফ্ল্যাট থেকে সানজিদা আক্তার রূপা নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে মৃতের স্বামী শহীদুল ইসলাম তিন বছরের শিশু ছেলেকে রেখে পলাতক রয়েছে।
মৃত সানজিদা আক্তারের ভাই মনিরুল ইসলাম সুমনের অভিযোগ, যৌতুক ও দাম্পত্য কলহের জেরে শহীদুল তার বোনকে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করেছে।
জানা গেছে, চার বছর আগে নাগর পুরের বনগ্রাম এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে শহীদুল ইসলামের সঙ্গে পাশের মাহমুদনগর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে সানজিদার বিয়ে হয়। তারা মানিকগঞ্জের উত্তর সেওতা এলাকার নূরুল ইসলামের বাসায় পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। শহীদুল মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ওষুধের দোকান চালাতেন। গত রাত ৯টার দিকে ঐ ফ্ল্যাট থেকে খাটের ওপর শোয়ানো অবস্থায় সানজিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সানজিদার ভাই মনিরুল ইসলাম সুমন বলেন, বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে শহীদুলের ভগ্নিপতি নাসির হোসেন তাকে মুঠোফোনে জানান, তার বোন আত্মহত্যা করেছেন। সন্ধ্যায় এসে বোনের লাশ ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন।
মনিরুলের অভিযোগ, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে স্বর্ণালংকার,আসবাবপত্রসহ গৃহস্থালির জিনিস নেন শহীদুল। বিয়ের দুই বছর পর শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে সানজিদাকে মারধরও করতেন। তার ধারণা সানজিদাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর খাটের ওপরে ফেলে রাখে পরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা প্রচার করেন।
ঐ দম্পতির পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা খাদেজা আক্তার জানান, বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে শহীদুল তার কক্ষে এসে বলেন, সানজিদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর শহীদুলের সঙ্গে ঐ কক্ষে গিয়ে দেখতে পান, সানজিদার লাশ খাটের ওপরে পড়ে আছে। এ ঘটনার পর থেকে শহীদুল পলাতক। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
ভাস্কর সাহা বলেন, ঐ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।