বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঘরমুখো মানুষের চলাচলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ গাড়ির চাপ বাড়লেও আজ নেই কোনো যানজট।
এবারের ঈদে লম্বা ছুটির কারণে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষ। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের প্রত্যাশা ভোগান্তিহীন বাড়ি ফেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। চাপ বাড়ায় মহাসড়কের দাউদকান্দি, গৌরিপুর, ইলিয়টগঞ্জ, মাধাইয়া, চান্দিনা, নিমসার, ক্যান্টেনমেন্ট, পদয়ার বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ধীরগতির সৃষ্টি হয়। তবে মহাসড়কের কুমিল্লার অংশের কোথাও যানজট দেখা যায়নি। বিভিন্ন মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশকে কাজ করতে দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী বাসের যাত্রী আলম মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত কোথাও গাড়ি ব্রেক দিতে হয়নি, মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যেই কুমিল্লা এসে পৌঁছেছি। এবার মহাসড়কের পাশের ফুলের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কুমিল্লা চলে এসেছি।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বাস চালক আবুল কালাম বলেন, সড়কে কোনো যানজট নেই, ঢাকা থেকে কুমিল্লায় এসেছি একটানা। নির্বিঘ্নে আসতে পেরে ভালো লাগছে।
কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয় জানায়, মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সকল অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়েছে। মহাসড়কে সকল প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের কর্মতৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল পেট্রোল টিম মহাসড়কে রয়েছে। ৫৬টি সাধারণ পেট্রোল টিম, ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম, ১১টি রেকার, ৭টি কন্ট্রোল রুম একসঙ্গে কর্মতৎপরতা চালাচ্ছে।
এদিকে, ঈদযাত্রায় যানবাহনের চাপ বৃদ্ধিসহ বেপরোয়া গতির কারণে ইতোমধ্যে মহাসড়কে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হাইওয়ে পুলিশের রেকার এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ কুইক রেসপন্স টিমের তৎপরতায় কোনো প্রকার যানজট সৃষ্টি হয়নি। এছাড়া মলম পার্টি, চুরি, ছিনতাই প্রতিরোধে পদক্ষেপসহ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ঈদের আগে এবং পরে মানুষের ভোগান্তিহীন যাতায়াত নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশেষ করে আমাদের সকল কর্মকাণ্ড মনিটরিং করছেন হাউওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি স্যারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাদের সার্বিক নির্দেশনায় আমাদের টিম কাজ করছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিহীন স্বস্তির মহাসড়ক পেয়েছে। এদিকে সার্বিক বিষয়গুলো মনিটরিং করতে পেট্রোল টিম নিয়ে আমি মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছি।