1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বান্দরবানে ত্রিপুরাদের ওপর হামলা ও ঘর-বাড়ি জালিয়ে দেওয়ায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করলেন পার্বত্য উপদেষ্টা ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাহাজে ৭ খুনের ঘটনার সুরাহা হবে দ্রুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ময়মনসিংহে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টূর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত ইকরজানা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরন জুলাই অভ্যূত্থানের শহীদ সাগরের মাকে দেবিদ্বার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাভী উপহার প্রিন্সকে দ্রুত গ্রেফতার দাবী: আমাদের কন্ঠ নির্বাহী সম্পাদক-কে হুমকির প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন *বিপিএলেও রংপুর রাইডার্সের স্পনসর হিসেবে যুক্ত হল ‘গোল্ড কিনেন’* বড়দিন উদযাপন ও শান্তা নিয়ে কিছু কথা ১৮ বছর বয়স হলেই ভাতা পাবেন হিজরা জনগোষ্ঠীর মানুষ

জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি : ব্রয়লারের ডাবল সেঞ্চুরি, ডিমের ডজন ১৪৫ টাকা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২
  • ৩৪৯ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর দেশে হু হু করে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিগত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এতে এক সপ্তাহে ৪০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা ছুঁয়েছে।

ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রথমবারের মতো ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম ১৪৫ টাকায় উঠেছে। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২০০ টাকা। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী ১৯০ টাকা কেজিও বিক্রি করছেন।

গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।

মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মিজানুর বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম এমনিতেই বাড়তির দিকে ছিল। তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সেই দাম বাড়ার প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে।

পাইকারিতে প্রতিদিনই ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ব্রয়লার মুরগির কেজি আড়াইশ টাকা হয়ে যেতে পারে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম বলেন, এখন বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কম। এর সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম এমন বেড়ে গেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার কারণে সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে।

জ্বালানি তেলের দাম না বাড়লে মুরগি আর একটু কম দামে পাওয়া যেতো বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী।

এদিকে, বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আর মুদি দোকানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।

ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. ঝন্টু বলেন, গত কয়েকদিনে মুরগির দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। মুরগির দাম বাড়ার প্রভাব ডিমের দামে পড়ছে।

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, গত সপ্তাহে এক ডজন লাল ডিম ১২৫ টাকায় বিক্রি করেছি। তেলের দাম বাড়ানোর পর গত কয়েকদিন হুটহাট ডিমের দাম বেড়েছে। এখন এক ডজন ডিম ১৪৫ টাকা বিক্রি করছি। আমি ৮-১০ বছর ধরে ডিমের ব্যবসা করছি। এর আগে কখনো ডিম এতো দামে বিক্রি করিনি।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। ২৫০ গ্রাম শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। তবে কেউ এক কেজি কিনলে ১৯০ টাকা রাখা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম শিম বিক্রি হয় ৪০ টাকা।

শিমের পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকা টমেটোর। গত সপ্তাহে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো এখন ১০০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর গাজর গত সপ্তাহের মতো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বরবটিও গত সপ্তাহের মতো ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে শসার দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. শরিফুল বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে। এর মূল কারণ তেলের দাম বাড়ানো। তেলের দাম বাড়ানোর কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে সবজির দামে। তেলের দাম না বাড়লে এখন সব সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা কম থাকতো।

ডিম, মুরগি ও সবজির দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমে কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৩০০ টাকায় উঠেছিল।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ইলিশও। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা।

৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com