বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় চিরকুট লিখে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউপিতে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী মির্জাপুর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
জানা যায়, একই ইউপির বুড়িহাটি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সুজন মিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। সেই সঙ্গে গোপনে তা ভিডিও ধারণ করেন। পরে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ছাত্রীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন সুজন। এছাড়া সে কলেজে যাওয়া-আসার পথে প্রতিনিয়ত টাকার জন্য মারধর করাসহ নানাভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করতেন সুজন।
দুই সপ্তাহ আগে ওই ভিডিওটি ‘লোকাল সাফি’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হলে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। একপর্যায়ে বুধবার বিকেলে চিরকুট লিখে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ মরদেহ থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে, ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত সুজন গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ১৫ দিন আগে কলেজ থেকে ফেরার পথে সিংজুরী ব্রিজের কাছে আমার মেয়েকে আটকে মারধর করে সুজন। পরে খবর পেয়ে আমরা সুজনকে আটকে রাখি। ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম বাদশা এসে সুজনকে ছাড়িয়ে তার পরিবারের কাছে দেয়। কিন্তু তারপরও সুজন তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে।
কলেজছাত্রীর বড় ভাই অভিযোগ করে বলেন, ভিডিও ছাড়ার আগে তার এক ফুফাতো বোনের কাছে সুজন হুমকি দিয়ে এসএমএস পাঠায়। এরপর ‘লোকাল সাফি’ আইডি থেকে ওই ভিডিও ছেড়ে দিলে তার বোন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যা করে।