বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রানের। প্রথম ৪ বলে ৯ রান তুলে ম্যাচ জমিয়ে দেন খুলনার দলনেতা ইয়াসির আলি রাব্বি। পঞ্চম বলে ২ রান আসলে শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ রান। মোসাদ্দেকের করা বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি রাব্বি। ফলে রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে ৪ রানের জয় পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
রান তাড়া করতে নেমে ব্যক্তিগত ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তামিম ইকবাল খান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকেন অ্যান্ডি বালর্বিনি ও সাই হোপ। ৩১ বলে ৩৮ রান করে আউট হন বালর্বিনি। পরে মাত্র ১৩ বলে দ্রুত ২৬ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়।
এ সময় মনে হচ্ছিলো সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছে দল। কিন্তু ১ রানে আজম খান ও ৮ রানে সাইফউদ্দিন আউট হলে ফের চাপে পড়ে খুলনা। পরের উইকেট খেলতে নেমে সামনে থেকে লিড দেন দলনেতা ইয়াসির আলি রাব্বি। সাই হোপ ৩৩ রানে আউট হলেও শেষ বল পর্যন্তই লড়ে যান তিনি। কিন্তু পারেননি জয় জেতাতে। মাত্র ১৯ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৬ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়াহাব রিয়াজ।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান খুলনা টাইগার্সের দলনেতা ইয়াসির আলি রাব্বি। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই জয় কুমিল্লার। ওপেনিং জুটিতে আসে ৬৫ রান। এর মাঝেই ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৫০ রান। ৪২ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি নয়টি চারে সাজানো।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নামা জনসন চার্লসবে সঙ্গে নিয়ে আরও বড় জুটি গড়েন রিজওয়ান। এ সময় দুজন মিলে মাত্র ৩৮ বলে তুলেন ৬০ রান। মাত্র ২২ বলে পাঁচটি ছয়ের মারে ৩৯ রান তুলে আউট হন চার্স।
এরপর খুশদিল শাহকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন রিজওয়ান। এর আগে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। ৪৭ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি চারটি চার ও একটি ছয়ে সাজানো। এদিকে ১১ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন খুশদিল। ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান তুলে কুমিল্লা।