১৯৮২ সালে কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন ফাতিমা । তবে শৈশবের একটি বড় সময় সিরিয়ায় অতিবাহিত করেন তিনি। তার বাবা মর্তুজা ভুট্টো পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন। ফাতিমা ভুট্টো ২০০৪ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট হন। তার বিষয় ছিল মিডল ইস্টার্ন ল্যাঙ্গুয়েসেজ অ্যান্ড কালচার্স। ২০০৫ সালে লন্ডনের এসওএএস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাউথ এশিয়ান গভার্নমেন্ট অ্যান্ড পলিটিক্স নিয়ে মাস্টার্স করেন।
তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। লেখক হিসেবে তিনি বেশ সফল। ১৯৯৭ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হুইসপার্স অব দি ডেসার্ট। তবে বর্তমানে নন-ফিকশনই বেশি লেখেন।
তার গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে সংস অব ব্লাড অ্যান্ড সোর্ড: অ্যা ডটার্স মেমোইর, দি শ্যাডো অব দি ক্রিসেন্ট মুন, দি রানওয়েজ, নিউ কিংস অব দি ওয়ার্ল্ড: দি রাইজ অ্যান্ড রাইজ অব ইস্টার্ন পপ কালচার। শেষ বইটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়। তিনি পাকিস্তানের বৃহত্তম উর্দু পত্রিকা জং ও দি নিউজ পত্রিকায় সাপ্তাহিক কলাম লিখে থাকেন।
তিনি ২০০৬ সালে লেবানন গিয়ে লেবাননে ইসরাইলি আক্রমণের খবর পরিবেশন করেন। তাছাড়া ২০০৭ সালে ইরান ও ২০০৮ সালে কিউবা সফর করেন সাংবাদিক হিসেবে খবর পরিবেশন করার জন্য। তার লেখা নিউ স্টেটসম্যান, ডেইলি বিস্ট, গার্ডিয়ান, ক্যারাভান ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়।
তবে তিনি ফেসবুকের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি কখনো এতে যোগ দেননি। তিনি করাচিতেই বসবাস করেন।