ক্যাম্পাস প্রতিবেদক: দেশের শীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেশ-বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’র নাম প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ-এর নামে পুনঃ নাম করণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর আলোকে মতামত প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পাঠিয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর বিবিধ ধারা উপধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের কোন সুযোগ নাই। তবে প্রস্তাব করা হয়েছে এখনো অনুমোদন পায় নাই এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের পর অনুমোদন পাওয়ার উদাহরণ বিদ্যমান। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ন্যায় রয়েল ইউভার্সিটি অব ঢাকা কর্তৃপক্ষও তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রীর নামে পুনঃ নাম করণের আবেদন জমা দিয়েছে।
এতদ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন, দেশ-বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জনকারী বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করা হলে প্রতিষ্ঠানটির ইতিমধ্যে অর্জিত সার্বিক সুনাম নিমিষেই মিলিয়ে যাবে। তাছাড়া ইতিপূর্বে পাশ করে যাওয়া তাদের সনদ নিয়ে জটিলতার সম্মুখীন হবে। অভিভাবকদের অনেকেই মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে স্যার ফজলে হাসান আবেদ-এর মান-মর্যাদায় তেমন কোন হেরফের হবে না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়টির সার্বিক কার্যক্রমে পরিচালনায় পদে পদে হোঁচট খেতে হবে। আন্তর্জাতিক রেপুটেশনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে। অভিভাবকরা মনে করছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বর্তমান কর্তৃপক্ষের উচিত হবে ইউজিসি’র নির্দেশনা মোতাবেক যতদ্রুত সম্ভব প্রতিষ্ঠানটির জন্য বাড্ডায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিফট করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা। নাম পরিবর্তন করার চাইতে এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির সুনাম আরো বৃদ্ধি পাবে। অন্য দিকে বর্তমানে মহাখালীতে ভাড়া বাবদ যে বিপুল অংকের অর্থ মাস মাস গুনতে তা থেকে মুক্তি মিলবে। কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করছেন যে, এই বিপুল অংকের বাড়ি ভাড়া লেনদেনের পেছনে কারো না-কারো বিশেষ কারসাজি থাকলেও থাকতে পারে। আর এজন্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিফট করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করা হচ্ছে। একজন অভিভাবক বেশ জোর দিয়ে বলেছেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ-এর মৃত্যুর পর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সুনাম এখন পড়তির দিকে ধাবমান।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, একবার যদি নাম পরিবর্তন করা শুরু করা যায় তাহলে এই প্রক্রিয়া আর বন্ধ করা যাবে না। নাম পরিবর্তনের হিড়িক পড়ে যাবে। হুজুগে বাঙ্গালী বলে কথা!!!!