আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, হিন্দু বিবাহ আইনের ৯ নম্বর ধারায় ‘রেস্টিটিউশন অব কনজুগাল রাইটস’ বলে একটি আইনি সংস্থান রয়েছে। সোমবার সেটির মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ আটকে দিলেন তিনি।
রোশন জানিয়েছেন, অভিনেত্রী স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য ভেঙে ফেলতে চাইছেন না তিনি। তাই নিজেদের সম্পর্কে টিকে রাখার তাগিদে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
তবে অনেকেই মনে করছেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর ভরণপোষণের চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছেন রোশন।
তবে রোশনের ভাষ্য, শ্রাবন্তীর যেমন জীবন যাপনের জন্য রোশনের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন নেই, তেমনই রোশনও শ্রাবন্তীর মুখাপেক্ষী নন। তিনি কেবল মাত্র অভিনেত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চান।
এ বিষয়ে এখনও শ্রাবন্তীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রোশন বলেছেন, ‘আমি শ্রাবন্তীর সঙ্গে সংসার করতে চাই।’
আগামী জুলাই মাসে রোশনের আবেদনের ভিত্তিতে শ্রাবন্তীকে তলব করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে শ্রাবন্তীর বিয়ে হয় ২০০৩ সালে। রাজীব-শ্রাবন্তীর ছেলেও রয়েছে, তার নাম ঝিনুক। মায়ের সঙ্গেই থাকে সে।
রাজীবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে শ্রাবন্তীর সম্পর্ক হয় মডেল কৃষণ ব্রজের সঙ্গে। মহাসমারোহে বিয়েও করেন তারা। এরপর কৃষণের সঙ্গে বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয় শ্রাবন্তীর। তার পরই নায়িকার সঙ্গে জড়িয়ে যায় রোশনের নাম।