বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : গত মাসের শেষ দিকে সিলেটের হরিপুরে নতুন একটি কুপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাসফিল্ডস কর্তৃপক্ষ। এমন ঘোষণার ১৪ দিন পর সেখানে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সিলেট-১০ নং গ্যাসকূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন হয়েছে। এই কূপে চারটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে নিচের স্তরটি ২ হাজার ৫৪০ থেকে ২ হাজার ৫৫০ মিটার পর্যন্ত পরীক্ষা করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া গেছে; যার ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। মজুদের পরিমাণ ৪৩ থেকে ১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।
এছাড়াও ২ হাজার ৪৬০ থেকে ২ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে পরীক্ষা করলে ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। আর ২ হাজার ২৯০ থেকে ২ হাজার ৩১০ মিটার গভীরেও গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
সবচেয়ে উপরে ১ হাজার ৩৯৭ থেকে ১ হাজার ৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া গেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যেখানে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যায়। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুদ জানা যাবে।
২০২৬ সালে বাংলাদেশ গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে আশা প্রকাশ করে তিনি জানান, নতুন গ্যাস সংযোগে শিল্পখাতকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আমিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।