বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: রাজধানীর কলাবাগান ও কোতয়ালী থানার নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) পৃথক দুইটি আদালত এ রায় দেন।
কলাবাগান থানার মামলায় ১০ জনের সাজা
পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগে কলাবাগান থানায় করা মামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে দুই ধারায় ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলায় তাদের দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিচারক কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে তিনহাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কলাবাগান থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বিলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ কিবরিয়া লাকি, কলাবাগান থানা ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান, কলাবাগান থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জনি, ধানমন্ডি থানা যুবদলের সভাপতি আরমান আহমেদ এলিন, মো. আশরাফ হোসেন আলম মিয়া, মো. ফারুক ওরফে ডিম ফারুক, মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. নাসির ও মিজু।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কলাবাগান এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল বের করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা যানচলাচল বন্ধ করে পুলিশের কাজে বাধাদান করে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানার মামলা দায়ের করেন এসআই মো. আমিনুল ইসলাম। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩০ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
কোতয়ালী থানার মামলায় বিএনপির ৪ জনকে সাজা
পাঁচ বছর আগে পুলিশকে মারধরের অভিযোগে রাজধানীর কোতয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তারা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন আনান, হায়দার আলী বাবলা, মো আলাউদ্দিন ও রিয়াজ আহম্মেদ রিয়াজ। এদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় সাখাওয়াত হোসেন আনান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, এর আগে তিনি সাতটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন ও একটিতে খালাস পেয়েছেন।