বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: এসএ টোয়েন্টিতে বেশিরভাগ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ব্যস্ত। ঠিক এই অজুহাতে বেশিরভাগ জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে ছাড়াই নিউজিল্যান্ড সফরে হাজির হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আনকোরা এসব ক্রিকেটারদের সামনে খুব বেশি বেগ পাওয়ার কথা ছিল না কিউইদের। পেতেও হয়নি। একরকম হেসে খেলেই প্রোটিয়াদের বিধ্বস্ত করেছে নিউজিল্যান্ড।
৫২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করে জেতাটা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে একপ্রকার অসম্ভবই ছিল। প্রথম ইনিংসে যারা ১৬২ রানে অলআউট হয়েছে, তাদের কাছে এমন লক্ষ্যমাত্রা বেশ একটা বাড়াবাড়িই বটে। দ্বিতীয় ইনিংসে এসে ২৪৭ পর্যন্ত স্কোর করেছে দলটি। হারের ব্যবধান ২৮১ রানে। রানের হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের এটিই সবচেয়ে বড় জয়।
রান তাড়ায় নেমে চার ওভার হতে না হতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্কোরবোর্ডে তখন জমা হয়েছে মোটে ৫ রান। তৃতীয় ওভারে কিউই অধিনায়ক সাউদি বোল্ড করে দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ব্র্যান্ডকে। প্রথম ইনিংসে ৪ রানে আউট হওয়া ব্র্যান্ড আজ করেছেন ৩ রান। অধিনায়ক হিসেবে যাত্রাটা খুব একটা সুখকর হলো না তার জন্য। পরের ওভারেই ম্যাট হেনরির বলে ফেরা অন্য ওপেনার এডওয়ার্ড মুর ফিরেছেন কোনো রান করেই।
এরপর যোবায়ের হামজা ও রাইয়ার্ড ফন টন্ডারের ৬৩ রানের জুটিতে ছিল কিছুটা প্রতিরোধ। কিউই পেসার কাইল জেমিসন ভাঙেন তাদের এই জুটি। টন্ডারকে ৩১ রানে আর হামজাকে ৩৬ রানের মাথায় আউট করেন এই পেসার।
এই দুই উইকেটের পর আরও একটা বড় জুটি এসেছে কিগান পিটারসেন এবং ডেভিড বেডিংহ্যামের হাত ধরে। ১৪৩ বলে ১০৫ রানের জুটি করেন তারা। পুরো জুটিতে বেডিংহাম একাই করেছেন ৮৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ সংগ্রাহকও তিনি। আর ১৬ রান প্যাটারসনের। ৯৬ বলে ৮৭ করে জেমিসনের তৃতীয় শিকার হন বেডিংহাম।
২ ওভার ও ৩ রানের মধ্যে দুজনের বিদায়ের পর শুধু হারটাই বাকি ছিল প্রোটিয়াদের। শেষ উইকেটে কিছুটা দ্রুতগতিতে রান তুলেন রুয়ান ডি সোয়ার্ট ও ডেন প্যাটারসন। ২৪ বলে ২৪ রানের জুটি করে দলীয় ইনিংস ২৪৭ রান পর্যন্ত নিয়ে যাণ তারা। সোয়ার্ট করেছেন ৩৬। আর ডেনের সংগ্রহ ১৫ রান।
অবশ্য নিজেদের এমন প্রচেষ্টায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ খেলোয়াড়রা। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৫১১ রানের বিপরীতে তারা অলআউট হয়েছিল মোটে ১৬২ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৯ রানেই ৪ উইকেটের পতন ঘটে স্বাগতিকদের। এরপর ৫২৮ রানের টার্গেটে তাদের ইনিংস থেমেছে ২৪৭ রানে। ২৪০ রান এবং ২ উইকেটের সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র।