বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, বাংলাদেশে ১৫ কোটি লোক আছে, তার মধ্যে ১২ কোটির কোনো জন্মতারিখ সঠিক নেই। বিচারপতিদের কারোরই বয়সের ঠিক নেই। দুর্নীতি-লুটপাটে ব্যস্ত সরকার জনগণের দৃষ্টি আড়াল করতে নতুন ইস্যু সৃষ্টি করছে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইন বাতিল’-এর দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের কোন লোকের বয়স ঠিক আছে? কারোরই বয়স ঠিক নাই। আমাদের সময়ে বাপ-মায়েরা বয়স ঠিক করতেন না, বয়স ঠিক করতেন হেডমাস্টার। আমরা যারা উঁচু লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছি, আমাদের বয়স ঠিক করতেন হেডমাস্টার। আজকে সেখানে খালেদা জিয়ার বয়স নিয়ে একটা মামলা করেছে, এটা দেখে হাইকোর্টের বিচারপতির প্রথমেই বলা উচিত ছিল- এইসব ফালতু কিছু দেখার জন্য হাইকোর্টের সৃষ্টি হয় নাই।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ প্রশ্ন করেন, আপনারা কী করছেন? বিএনপি এত বড় একটা পার্টি, তার নেত্রীকে আপনারা অপমান করছেন। তাদের উচিত হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সংসদ ভবনে যাওয়া এবং প্রধান বিচারপতিকে ঘেরাও করা।
আন্দোলনের জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে। আমাদের একযোগে লড়াই করতে হবে। বড় বড় দলগুলোকে বলি, আপনারা যদি ভেবে থাকেন আগামী নির্বাচনটা দেখি, তাহলে ভুল হবে। কারণ উনি সাত এর জায়গায় ৭০টি সিট দেবেন, কিন্তু ক্ষমতা দেবেন না। সুতরাং তাকে ক্ষমতা থেকে না নামিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, বিএনপির গণশিক্ষা সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম মহাসচিব শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, লেবার পার্টির হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, হুমাউন কবির, আবদুর রহমান খোকন, তরিকুল ইসলাম সাদী, আল মাহদি, নাসিমা নাজনিন সরকার, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ছাত্রদলের মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।