বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: পাকিস্তান সুপার লিগে বৃহস্পতিবার রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ দেখা গেল। দুই দলের ব্যাটসম্যানরা মেতে উঠলে রান বন্যায়। বোলাররা খেলেন বেধড়ক মার। শেষ পযন্ত ৪৭৯ রানের ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দারুণ জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। দারুণ খেলেও ১৫ রানে হেরেছে পেশোয়ার জালমি।
আবুধাবিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে উসমান খাজার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ২৪৭ রান করে ইসলামবাদ ইউনাইটেড। জবাবে শুরুটা খারাপ হলেও শেষ অবধি জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছিল পেশোয়ার জালমি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৬ উইকেটে ২৩২ রানে থামে পেশোয়ারের ইনিংস। সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ইসলামাবাদের উসমান খাজা।
২৪৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় পেশোয়ার। ইনিংসের প্রথম বলে বিদায় নেন মারকুটে ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই। টিকতে পারেননি ইমামউল হকও। তবে কামরান আকমল ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে লড়াই করা শুরু করে পেশোয়ার। শেষের দিকে এই লড়াইয়ে নাম লেখান অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজ, রাদারফোর্ডরা। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৪ রান। পারেনি তারা।
৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন শোয়েব মালিক। ৩২ বলে ৫৩ রান করেন কামরান আকমল। ৮ বলে চার ছক্কা ও এক চারে ২৯ রান করেন রাদারফোর্ড। ১৫ বলে ২৮ রানে ওয়াহাব রিয়াজ ও ৯ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন উমাদ আসিফ। ইসলামাবাদের হয়ে আকিফ জাভেদ নেন তিন উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে পেশোয়ার জালমির বোলারদের উপর রীতিমতো স্টিমরোলার চালান ইসলামাবাদের টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান। ৫৬ বলে ঝড়ে সেঞ্চুরি করেন ওপেনার উসমান খাজা। ১৩টি চার ও তিন ছক্কায় ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটসম্যান।
২২ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রান্ডন কিং। ১৪ বলে ৪৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন আসিফ আলী। পাঁচ ছক্কার পাশাপাশি তিনি হাকান দুটি চার। ২৮ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ৪৮ রান করেন ওপেনার কলিন মুনরো। পেশোয়ারের হয়ে একটি করে উইকেট নেন সামিন গুল ও শোয়েব মালিক।
১৯তম ওভার শেষে ইসলামাবাদের রান ২২৬। সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে ছিলেন উসমান খাজা। উমাদের করা শেষ ওভারে ছয় বলে উসমান তোলেন ২১ রান। দল পৌঁছে যায় আড়াইশর কাছাকাছি, সেঞ্চুরিও পেয়ে যান উসমান খাজা।
৯ ম্যাচে সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইসলামাবাদ। প্লে অফ নিশ্চিত তাদের। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে পেশোয়ার।