বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানাধীন তালতলা মোল্লাপাড়া এলাকায় কলেজপড়ুয়া ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মশিউর রহমান নামের এক বাবা ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ সময় মেয়ে সিনথিয়াকেও হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এ ঘটনার জন্য ‘কেউ দায়ী নয়’ জানিয়ে তিনি একটি সুসাইড নোট লিখে গেছেন।
আজ রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছেলের নাম মোদাব্বির হোসেন সাদাব (১৮)। তিনি ঢাকা উদ্যান কলেজের ছাত্র ছিলেন। আহত সিনথিয়া শ্যামলীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত বাবার নাম মো. মশিউর রহমান। তিনি আগে চাকরি করতেন, বর্তমানে কিছু করতেন না। ছেলের নাম সাদাত। সে ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সিনথিয়া নামে সাদাতের ১৩ বছরের বয়সী বোনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন এলাকাবাসী।
যোগাযোগ করা হলে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আহাদ আলী জানান, বিকেলে আমাদের কাছে খবর আসে তালতলা মোল্লাপাড়ার একটি বাসায় বাবা-ছেলে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বাসার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে বাবা মশিউর রহমান। আর ছেলে সাদাত বিছানায়।
তিনি বলেন, সুরতহালে দেখা যায় ছেলে সাদাতের গলায় রশির দাগ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হয়ত ছেলে ও মেয়েকে হত্যার চেষ্টা করেছেন বাবা মশিউর রহমান। আমরা ঘটনাস্থলে মেয়েকে পাইনি। পুলিশ যাওয়ার আগেই সিনথিয়া নামে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী স্থানীয় হাসপাতালে পাঠিয়েছেন, তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ওসি বলেন, সুরতহাল শেষে বাবা ও ছেলের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যের কি কারণ, হত্যা নাকি আত্মহত্যা; পুরো বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মশিউর রহমান একটি ডেভলপার কোম্পানিতে সাব স্টেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। শেয়ার বাজারে তিনি টাকা লগ্নি করেছিলেন। হতাশা থেকেই এঘটনা বাবা ঘটিয়েছেন কি-না পুলিশ সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে, জানান ওসি আহাদ আলী।