বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: নতুন চাঁদ ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ কেন? কারণ নতুন চাঁদ দেখে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু ইবাদতের সময় নির্ধারিত হয়। সেগুলোর অন্যতম হলো- রোজা, হজ, জাকাত, কোরবানি। পাশাপাশি নতুন চাঁদ দেখার বিষয়ে হাদিস শরিফে বিশেষ নির্দেশনাও বর্ণিত হয়েছে।
আর তাই নতুন চাঁদ দেখা এবং না দেখার সঙ্গে ইসলামের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
প্রসিদ্ধ সাহাবি তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন।
দোয়াটি হলো
اَللهُ اَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَ الْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَ الْاِسْلَامِ وَ التَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَ تَرْضَى رَبُّنَا وَ رَبُّكَ الله
উচ্চারণ: ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্সালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ’।
অর্থ: ‘আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তাওফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক’। (তিরমিজি, মিশকাত)
রমজানের চাঁদের বিষয়ে রাসূলুর্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো। কিন্তু যদি আকাশে মেঘ থাকে, তাহলে গণনায় ৩০ পূর্ণ করে নাও’। (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৯০০)
অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা (নতুন চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না এবং তা (নতুন চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত রোজা ছেড়ে দিয়ো না’। (মুআত্তা মালিক, হাদিস : ৬৩৫)
উক্ত হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, রমজান শুরু কিংবা ঈদ করার ব্যাপারটা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। কোনো এলাকায় চাঁদ দেখা না গেলে তাদের জন্য রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
চাঁদ দেখা যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো এলাকার প্রত্যেকে দেখা জরুরি নয়। বরং বিশ্বস্ত কোনো ব্যক্তি দেখলেও রোজা শুরু করার অবকাশ রয়েছে।