1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় ভোগান্তিতে রোগীরা ছাত্র-জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের অর্জিত অভূতপূর্ব বিজয় যেন হাতছাড়া না হয় : এ্যাড.শিমুল বিশ্বাস ‘কারকুমা’ ফাংশনাল ফুড এখন যুক্তরাষ্ট্রে বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বান্দরবান সুয়ালক ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের দোসর কতৃক চাঁদাদাবী ও কাজে বাঁধাদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : ড. আসিফ নজরুল বীরগঞ্জে দারুল হুদা হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ সখিপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু বিজিবি’কে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ

সালমান এফ রহমানের নামে যত কেলেঙ্কারি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭৩ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

২০০৬-২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও ঋণখেলাপিসহ নানা অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। এরপর বের হয়ে নাম জড়ান ২০১০-১১ সালের শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারিতে। এতকিছুর পরও তাকে স্পর্শ করার সাহস হয়নি কারও। তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ব্যবসায়ীদের জোরপূর্বক গণভবনে নিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রীর পাশে আছি’ বলে বক্তব্য রাখানোর অভিযোগ উঠেছে।

মূলত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সালমান এফ রহমান। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবসায়ী নেতার পর ২০১৮ সালে এমপি ও টানা দুইবার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হন।

হাজারো ব্যবসায়ীকে পথে বসানো শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির এক অবিচ্ছেদ্য নাম সালমান এফ রহমান। ২০১০-১১ সালে শেয়ার বাজার ধসের পর এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। রিপোর্টে তিনি সালমান এফ রহমান থেকে পুজিবাজারকে সতর্ক রাখার পরামর্শ দেন।

রিপোর্টে পুঁজিবাজারে ফিক্সড প্রাইস, বুক-বিল্ডিং, রাইট শেয়ার, ডিরেক্ট লিস্টিং, সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন, প্রেফারেন্স শেয়ারসহ সকল ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয়েছে এবং এর সঙ্গে সালমান এফ রহমানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রমাণ পায় কমিটি। অথচ এসব অনিয়মের সঙ্গে সালমান এফ রহমানসহ আরও কয়েকজনের নাম জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমানের বিভিন্ন অপকর্মের মধ্যে জমি জালিয়াতি অন্যতম। ঢাকার কালিয়াকৈরে সাধারণ মানুষের প্রায় ২৪১ একর জমির জাল দলিল করার মতো প্রতারণার সঙ্গে তিনি জড়িত বলে অভিযোগ আছে।

২০০০ সালের দিকে বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজম্যান্ট লি. এসব জমির ভুয়া দলিল নিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকে গিয়েছিল, বড় অঙ্কের ঋণের জন্য। ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরবর্তীতে এসব জমির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন— জমিগুলো আসলে ক্রয়ই হয়নি। জমির মালিকরা আতঙ্কিত হয়ে গাজীপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসকের শরণাপন্ন হলেও তিনি তাদের সাহায্য করেননি।

এরপর তারা তৎকালীন ইউএনওর কাছে গেলে তিনি তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ব্যক্তিগতভাবে ইউএনও খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হন যে, প্রকৃত মালিকরা বেক্সিমকোর কাছে জমি রেজিস্ট্রি করে দেননি। বরং রেজিস্ট্রি অফিসে ভুয়া মালিক সাজিয়ে এসব দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এরপর ইউএনও লিখিতভাবে বেক্সিমকো প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজম্যান্ট লি. কে নোটিশ পাঠান। এই সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ওই ইউএনওকে নানা লোভ এবং ভয়ভীতি দেখিয়েও ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে ইউএনও নিজে বাদি হয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এই জমি জালিয়াতির সঙ্গে সালমান এফ রহমান সরাসরি জড়িত দাবি করে তিনি আর্জির সঙ্গে ১০৮ পৃষ্ঠার তথ্যপ্রমাণও জুড়ে দেন।

তবে সালমান বা তার প্রতিষ্ঠানের কিছুই হয়নি বরং শেষ পর্যন্ত বদলি হন সেই ইউএনও।

২০০৬-০৭ সালের দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতিবিরোধী একটি টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। টাস্কফোর্স বিভিন্ন দেশে অনুসন্ধান চালিয়ে তথ্য বের করেন যে, ১২২ জন রাজনৈতিক নেতা ও আমলা দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে ৪৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ মোট ১৭টি দেশে এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে।

পাচার হওয়া ৪৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা সালমান এফ রহমানের। আমেরিকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে এসব টাকা পাচার করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com