মো: রমজান আলী বান্দরবান প্রতিনিধি : শুধু আজকে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুধু তারাই না, এলাকায় যারা যারা আছেন সবাই যেন নিরাপত্তায় থাকতে পারে সেজন্য আমরা দিনরাত চিন্তা করছি। এঘটনায় ৪জনকে আটক করা হয়েছে। যারা বাইরে আছেন, তাদেরও আটক করার চেষ্টা চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। বান্দরবানের লামায় আগুন দিয়ে ১৭ টি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সময় একথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
আজ ২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকালে লামা উপজেলার সরই টংগাঝিরি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ নতুন পূর্ব বেতছড়া পাড়া পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, লোকজনের বসতঘর পুড়িয়ে দেয়া খুবই নিন্দনীয় কাজ। আইনের মধ্যে থেকে ভূমি হস্থান্তরসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে, প্রত্যেক নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকায় প্রস্থাবিত পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়েও সহযোগিতা করা হবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (যুগ্নসচিব) রিপন চাকমা, জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রাজু ময় তঞ্চঙ্গ্যা, মোঃ নাছির উদ্দিন,সাইফুল ইসলাম রিমন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভাঃপ্রাঃ) রুপায়ন দেব উপস্থিত ছিলেন।
পরে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭পরিবারের মাঝে প্রত্যেক পরিবারকে পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দুই বান্ডিল ঢেউটিন,২৫ কেজি চাল, ২টি করে কম্বল বিতরণ করেন।
এসময় আগুনে ঘর পুড়িয়ে দেওয়া ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করেন, রফিক, দেলোয়ার, শুক্কুর, ফরিদ, ইব্রাহিম সবাই সাবেক আইজিপির নামে বিগত সময়ে জায়গা দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম করতেন।
মামলার বাদী গুঙ্গামনি ত্রিপুরা জানান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এর নাম করে কেয়ারটেকার ইব্রাহিম, রফিক, দেলোয়ার বিভিন্ন সময় বেতছড়া পাড়ার ত্রিপুরাদেরকে হুমকী দিয়ে আসছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের সন্দেহ তারাই বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পাড়াবাসী পাশের টংগাঝিরি পাড়ায় বড়দিন উপলক্ষে গীর্জায় প্রার্থনা করতে গেলে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি পূর্ব বেতছড়া পাড়ার ১৭টি কাঁচা বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনার পর মামলা দায়ের হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ৪ আসামীকে আটক করে। বাকী আসামীদেরও ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।