বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : মিরাজ আল্লাহর অপার মহিমা ও কুদরতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ বহন করে। মিরাজের ঘটনা সংবলিত বিবরণ সূরা বনী ইসরাইলের তৃতীয় ও চতুর্থ রুকুতে বর্ণিত ১৪ টি কর্মপন্থা ও শিক্ষা পরবর্তীতে মদিনা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে। মেরাজের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোৎকৃষ্ট উপহার হলো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত। নামাজের মাধ্যমে চরিত্র সংশোধন হয়,সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া ব্যক্তি, পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্র সংস্কারে সূরা বনী ইসরাইলের ১৪ টি মূলনীতি বা কর্মপন্থা। যার স্বার সংক্ষেপ হলো – ১,সকল ক্ষেত্রে দাসত্ব ও গোলামী একমাত্র আল্লাহর জন্যই।
২, পিতা,মাতা, আত্মীয় স্বজন ও ইয়াতিম মিসকিন ও মুসাফিরের অধিকার নিশ্চিত করা।
৩, সম্পদ উপার্জন, সম্পদ ব্যায়ের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা। অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করা।
৪, যিনা ব্যভিচারের নিকটবর্তী না যাওয়া এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল উপকরণ, পথ ও পন্থা পরিহার করা।
৫, রিজিকের ভয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ করে সন্তান হত্যা করা।
৬, অনুমান নির্ভর সকল কাজ পরিহার করা।
৭, নিরপরাধ কোন মানুষ কে হত্যা না করা।
৮, লেনদেন ও বেচা বিক্রির ক্ষেত্রে অসচ্ছতা, অনৈতিকতার কাজ পরিহার করা।
৯, পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা।
১০, অহংকার পরিহার করা।
পরিশেষে বলা যায়, মিরাজ শুধু অলৌকিক কোন ঘটনা নয় বরং একটি ভারসাম্যপূর্ণ ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিরাজের ভূমিকা অপরিসীম।
লেখক : হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল হালীম আযহারী। খতীব, আল হেরা জামে মসজিদ, পূর্ব শেখদি, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।