বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বদলা নিতে হলে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। নতুন প্রত্যয়ে বলীয়ান হয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে পারলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।
শুক্রবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মৃত্যুশয্যায় বঙ্গবন্ধুর তর্জনী যে নতুন সূর্যোদয়ের ইশারা দিয়ে গিয়েছিল কাল থেকে কালান্তরে এসে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের স্টিমারে করে সম্মুখ পানে সওয়ার করে চলেছেন। তিনি আগস্টের বেদনার মহাকাব্যের শোককে চিরধার্য শক্তিতে রূপায়িত করেছেন বলেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে নিজের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।
১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ নির্মমভাবে নিহত সব শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি বলেন, আজ গভীর দুর্যোগের অভিজ্ঞতা যখন নতুন করে বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্রগুলোকে আরো বেশি দায়িত্ব নেয়ার কথা বলা হচ্ছে, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমাদের সবাইকে মনে করতে হবে। বুঝতে হবে কেন বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন? আর কেনইবা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রণোদনা এসেছিল আর কাদের মদদেই বা এসেছিল?
তিনি আরো বলেন, একই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার পরিবারের ১৬ জন সদস্যকে পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে ধ্বংস করে ঘাতকরা।
নানক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সব দুরভিসন্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ও পাকিস্তানের চক্র এবং এ দেশীয় দালালদের গোপন আঁতাতের কথা আজ দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। আজ মানুষ বুঝতে পেরেছে বঙ্গবন্ধু হত্যার উদ্দেশ্যে ছিল বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বাংলাদেশের নাম চিরতরে মুছে ফেলতে।
শেখ রাসেলের প্রসঙ্গ তুলে ধরে নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এমন একটি সময়ে বাংলার মাটিতে এসেছিলেন যখন বাংলার আকাশ পরাধীনতার বিষবাষ্পে অনাবৃত অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এমনি একটি রাতে বাংলার আকাশে আলোর পাখি ও অন্ধকারের প্রবল প্রতিপক্ষ হয়ে এসেছিলেন শেখ রাসেল।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রকিবুর রহমানের ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরুসহ সংগঠনের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা প্রমুখ।