1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বিগত সরকার শুধু অবৈধ সরকার নয় মাদকেরও সরকার ছিলো: এ্যানি চৌধুরী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বীরগঞ্জে স্বামীকে তালাক দেওয়ায় নারীকে হত্যার চেষ্টায় আটক-১ ডিসিসিআইতে “স্বাস্থ্য খাতে বিদেশমুখিতা কমাতে দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি” বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হামদর্দ ও বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র কখনোই যায় না: মির্জা ফখরুল ফার্মগেটের মানসী প্লাজার আগুন নিয়ন্ত্রণে পুষ্টি ‘ভার্সেস অব লাইট’ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ডিসেম্বরে কুয়াকাটাসহ বরিশাল বিভাগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ ও সচেতনতা মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন

‘ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ট্রেজারারের শূন্য পদ পূরণে ৪র্থ বারের মতো নির্দেশনা দিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়’

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১
  • ৬০৫ বার দেখা হয়েছে
বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা-১ এর উপ-সচিব শামিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক স্মারকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বরাবর এই মর্মে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি), প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ( প্রো-ভিসি) এবং ট্রেজারারের শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে প্রতি পদের বিপরীতে ৩ জনের নাম প্রস্তাবাকারে জরুরী ভিত্তিতে পাঠাতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের আগষ্ট মাস হতে এ পর্যন্ত ৪ বার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের নিকট এই নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়। সর্বশেষ কিছুদিন পূর্বে ৪র্থ বারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে,আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এসব তালিকা পাঠানো না-হলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনানুযায়ী ভিসি, প্রো-ভাইস ও ট্রেজারার পদে নিয়োগ দেন বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের অভিভাবক মহামান্য রাষ্ট্রপতি। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই নিয়ম না-মেনে নিজেরাই ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এসব পদে নিয়োগ নিয়ে বছরের পর বছর শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, দেশের মোট ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ১১টিতে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে নিয়ম মোতাবেক বৈধভাবে নিয়োগ প্রাপ্তরা দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের পদ শূন্য রয়েছে শিগগিরই ওসব শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গত ৮ জুন,২০২১ ইউজিসি বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এগুলোর কোন কোনটি অননুমোদিত ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, কোন কোনটিতে বৈধ ভিসি, বৈধ প্রো-ভিসি ও বৈধ ট্রেজারার নাই, কোন কোনটি অননুমোদিত প্রোগ্রাম/কোর্স পরিচালনা করছে, আবার কোন কোনটিতে রয়েছে মালিকানার দ্বন্দ্ব।
বৈধ ভিসি, বৈধ প্রো-ভিসি ও বৈধ ট্রেজারার নাই এমন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলো এশিয়ান ইউনিভার্সিটি। ইউজিসি’র তথ্য মতে  এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে বৈধ ভিসি নাই ২০০৯ সাল থেকে, বৈধ প্রো-ভিসি নাই ২০০৪ সাল থেকে এবং বৈধ ট্রেজারার নাই ২০০১ সাল থেকে। তারপরও চলছে বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে, যথারীতি পাশ করে অবৈধ ভিসি মাওলানা আবুল হাসান মোহাম্মদ সাদেক স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট নিয়ে কর্মের বাজারে ঢুকে যাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী এসব সার্টিফিকেট বৈধ নয়। এশিয়ান ইউনিভার্সিটির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের।মাওলানা সাদেকের নেতৃত্বে ১টি ট্রাস্ট বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনা করছে। কিন্তু হারুন মিয়া এবং মঞ্জুর এলাহি নামক ২ ব্যক্তির নেতৃত্বে আরো ১টি ট্রাস্টের অস্তিত্ব বিদ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে ২য় ট্রাস্টের কর্তাব্যক্তিরা তাদের মালিকানা পরিত্যাগ করে (সূত্র : প্রথম আলো, জুলাই ১৪, ২০১৪)। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা যায়, আইনগতভাবে ২য় ট্রাস্টটি এখনো “ক্রিয়াশীল”। সংশ্লিষ্ট ২য় ট্রাস্টের অন্যতম কুশীলব মঞ্জুর এলাহি সুবিধা জনক সময়ে তার নেতৃত্বাধীন ট্রাস্টটির কার্যক্রম শুরু করবেন বলে নিজ নির্বাচনী এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বর্তমান মালিক মাওলানা সাদেক পরিবার নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলাস্থ পীরপুর গ্রামে বসবাসকারী সর্বজন স্বীকৃত ১টি রাজাকার পরিবার। স্বাধীনতা উত্তরকালে উক্ত এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাওলানা সাদেক, তার সহোদর ভাই ইঞ্জিনিয়ার ফারুক এবং তাদের পিতা মৌলবি আব্দুল খালেক-কে তাদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের শান্তি স্বরূপ মৃত্যুদন্ড প্রদান করে। কিন্তু পারিবারিক ভাবে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল কতিপয় বীর মুক্তিযোদ্ধা যে যাত্রায় তাদের জানে বাঁচিয়ে দেয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যাুনালে মাওলানা সাদেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্তাধীন। কিন্তু নরসিংদী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সূত্রে জানা যায়, মাওলানা সাদেকের নিকটাত্মীয় মঞ্জুর এলাহি ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রায়পুরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন-এর নিকট থেকে এই মর্মে ১টি সার্টিফিকেট গ্রহণ করে যে, মাওলানা আবুল হাসান মোহাম্মদ সাদেক ১৯৭১ সালে রাজাকার যুদ্ধাপরাধী ছিল না। বরং তৎকালে সে যুদ্ধরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। রায়পুরা উপজেলা বাসিন্দারা এই সংবাদে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন যে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেলেন। এদিকে মঞ্জুর এলাহি উক্ত সার্টিফিকেট আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যাুনালে জমা দেওয়ার পায়তারা করছে। এলাকা সূত্রে আরো জানা যায়, আফজাল সাহেব ৮-১০ বছর আগেও মাওলানা সাদেক-কে মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে একটি সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। তবে সুখের বিষয় হলো,ঐ সার্টিফিকেট দিয়ে মাওলানা সাদেক কোন ফায়দা হাসিল করতে পারে নাই।
মাওলানা সাদেকের নিজ ইউনিয়ন মির্জাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদ মিয়ার একটি অডিও এখন নেট-দুনিয়ায় ভাইরাল। সেখানে তিনি বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-কে স্বপরিবারে শহীদ করার দুঃখজনক খবরে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে মাওলানা সাদেক, তার বাবা মৌলবি আব্দুল খালেক, মঞ্জুর এলাহির বাবা মৌলবি হাবিবুর রহমান-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আমজনতার মাঝে ১০ মনের উপর মিস্টি বিতরন করে। বাড়িতে উড়ায় পাকিস্তানী পতাকা। এ ঘটনা স্থানীয় দেশ প্রেমিক জনগনকে মারাত্মক ভাবে ব্যথিত করে। তারা মাওলানা সাদেক-সহ জড়িত সবাইকে ধরার জন্য আক্রমণের প্রস্তুতি নিলে খবর পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য, সাদেক পরিবার যে বাড়িটিতে বসবাস করছে তা প্রখ্যাত কবি অক্ষয় কুমার বড়ালের। ১৯৭১ সালে সাদেক পরিবার তার কাছ থেকে বাড়িটি জোর করে দখল করে তাকে এবং তার পরিবার পরিজনকে তাড়িয়ে দেয়। স্বাধীনতার পর অক্ষয় পরিবার দেশে আর ফিরে আসেন নাই। আরো জানা যায়, মঞ্জুর এলাহি মূলত ডাকসাইটে শিবির কর্মী ছিল। বর্তমানে ভোল পাল্টে রায়পুরা আওয়ামী লীগের একজন বিশিষ্ট নেতা। নিজ গুনগান নিজেই করার জন্য সে কমপক্ষে ২০টির মতো ফেইক ফেসবুক আইডি পরিচালনা করে। এই প্রতিবেদক তার মধ্য থেকে ৮ টি চিহ্নিত করতে পেরেছেন। ওগুলো হলো— রায়পুরা আওয়ামী লীগ, রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগ, রায়পুরার খবর বেবী, খোকার চশমা, আওয়ার রায়পুরা, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক রায়পুরা শাখা, সুখ পাখি, রায়পুরা উপজেলা যুবলীগ।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিল মঞ্জুর এলাহি। বিবিএ পাশ করার পর সরাসরি ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ নিয়ে চলে যায় রাজশাহী, সেখানকার এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করার জন্য। আর এতেই কপাল খুলে যায় তার। শিবির কর্মী মঞ্জুর এলাহি সেখানে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা ছাড়াও শুরু করে জাল সার্টিফিকেট বিক্রির বানিজ্য। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সাল পর্যন্ত মাওলানা সাদেক কর্তৃক বিক্রিত জাল সার্টিফিকেটের ৮০ শতাংশই মঞ্জুর এলাহি মারফত ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে। এতে করে মধ্যসত্ত্ব ভোগী হিসেবে মঞ্জুর প্রচুর কাঁচা পয়সার মালিক বনে যায়। সে পয়সায় ঢাকা শহরসহ নিজ এলাকায় প্রচুর স্থাবর অস্থাবর সম্পদ ক্রয় করে মঞ্জুর। আর নিজ ইউনিয়ন মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও নির্বচিত হয় একবার। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই নিজ এলাকায় শুরু করে অত্যাচার নির্যাতন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১টি খুনের মামলাসহ বেশকিছু মামলা চলমান আছে। এখানে উল্লেখ্য যে, তার এমবিএ সার্টিফিকেটটি জাল মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়টির পরীক্ষা বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
৬টি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি পায়নি : বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাময়িক সনদপ্রাপ্ত হয়েও ৬ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি কর্তৃক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পায় নাই। সেগুলো হলো—রুপায়ন এ কে এম শামসুজ্জোহা, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ, আহ্ছানিয়া মিশন বিঞ্জান ও প্রযুক্তি, শাহ মাখদুম ম্যানেজমেন্ট, মাইক্রোল্যান্ড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, এবং আর টি এম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি।
মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব : ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন, ব্রিটানিয়া, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল এবং কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে মালিকানা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ইবাইস ইউনিভার্সিটির অনুমোদিত কোন ঠিকানা নাই। এদিকে  দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা-কে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয় নাই।
নতুন ইউনিভার্সিটির মধ্যে মহাখালীস্থ স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে বৈধ ভিসি রয়েছে। বৈধ প্রো-ভিসি ও বৈধ ট্রেজারার পদে নিয়োগ বিবেচনাধীন রয়েছে। করোনাকালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন তাদের এমপ্লয়িদের বেতন ভাতা  ৫০ শতাংশ বা তারও কম দিচ্ছে তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডে ভর্তুকি দিয়ে হলেও এখন পর্যন্ত এমপ্লয়িদের শতভাগ  বেতন ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি প্রশংসার দাবি রাখে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com