পরীমনির আইনজীবী মুজিবুর রহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে গত সোমবার জামিনের এ আবেদন করেন। আইনজীবী নিলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরীমনির জামিন আবেদনে বলা হয়, আসামি (পরীমনি) একজন মহিলা। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের এ মামলায় তিনি জামিন পেতে পারেন। জামিন পেলে তিনি জামিনের শর্ত ভঙ্গ করবেন না এবং আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক জরিমানা দেবেন। দীর্ঘ ছয় দিনের রিমান্ডে থাকাসহ প্রায় ২৬ ঘণ্টা পুলিশ হেফাজতে থাকলেও মামলাসংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে আসামির বিরুদ্ধে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি ভারটিগো ও পেনিক অ্যাটাক রোগী। দীর্ঘ সময় পুলিশ কাস্টডিতে থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এজাহারে বর্ণিত মদ ও অন্যান্য মাদক আসামির দখল ও নিয়ন্ত্রণ থেকে উদ্ধার হয়নি। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাই পরীমনিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া আবশ্যক। এছাড়া আবেদনে মামলার জব্দ তালিকার অসঙ্গতি ও অভিযান পরিচালনা আইনসঙ্গত হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের এ মামলায় দুই দফায় রিমান্ড শেষে গত ১৩ আগস্ট পরীমনি ও তার ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে ওইদিন তাদের পক্ষে জামিন আবেদনও করা হয়। আদালত তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় পরীমনি ও দীপুর দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। আর প্রথম দফায় গত ৫ আগস্ট দুজনের চার দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়।