বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : স্কুলের ছাত্রদের দেখেশুনে রাখার দায়িত্বে থাকা এক তরুণীর হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিল এক শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালের ওই ঘটনায় সেই তরুণীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের হায়দ্রাবাদ আদালত।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত মামলাটিতে ওই তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয় তাকে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তরুণী ছেলেদের প্রাইমারি স্কুলে কেয়ারটেকারের চাকরি করতেন। স্থানীয় ভাষায় এই পদকে বলা হয় ‘আয়াম্মা’। অর্থাৎ আয়া-মা।
২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বরে ওই স্কুলের এক ছাত্রের বাবা সেই আয়াম্মার বিরুদ্ধেই যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনেন। অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন, তার ছেলেকে নিয়মিত যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে স্কুলে।
অভিযোগে বলা হয়, স্কুলের আয়াম্মা ওই ছাত্রকে গোপনে ডেকে আদর করতেন। এমনকি ছাত্রটির যৌনাঙ্গ স্পর্শও করতেন। ব্যথা পেয়ে ছাত্রটি প্রতিবাদ জানালে তাকে মারধরও করতেন ওই তরুণী। অভিযোগে তরুণীকে বিকৃত মানসিকতার বলে উল্লেখ করেছিলেন ছাত্রের বাবা।
ওই ছাত্রের বাবা আরও জানিয়েছেন, ছেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রশ্ন করতেই ওই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানায় সে। ছাত্রটিকে ওই তরুণী সিগারেটের ছ্যাঁকাও দিতেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। চার বছর পর অবশেষে সেই মামলার নিষ্পত্তি হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর।